ডলারের দাম বেড়ে ১২৯ টাকা – BanglaNewsBDHub.com |

Featured Image
PC Timer Logo
Main Logo



পণ্য আমদানি, বকেয়া এলসি বিল পরিশোধ ও বিদেশ ভ্রমণ, সরবরাহ তুলনামূলক কম হওয়ায় হারে বেড়েছে ডলারের চাহিদা। বাড়তি চাহিদা মেটাতে ঘোষিত ১২০ টাকার ডলারের চেয়ে ৮ থেকে ৯ টাকা বেশি দামে ১২৮-১২৯ টাকায় কিনছে ব্যাংকগুলো। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে খোলা বাজারে। এর সুযোগ নিয়েছে কিছু অসাধু মহল।

দেখা গেছে, ডলার সংকটে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ১২৮ টাকায় রেমিটেন্স কিনেছে। যেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষিত হার ১২০ টাকা। আর কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে মার্কিন ডলারের দাম বেড়েছে ১২৯ টাকা। এক সপ্তাহ আগে ছিল ১২৩ থেকে ১২৪ টাকা।

রোববার রাজধানীর মতিঝিল দিলকুশা এলাকার বিভিন্ন ব্যাংক ও মানি চেঞ্জার হাউস ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
হঠাৎ করে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু চক্র ডলারের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। এমতাবস্থায় অন্তত ১৩টি সন্দেহভাজন ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার বিক্রি ও ক্রয়ের তথ্য তলব করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল করতে মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, চলতি মাসের মধ্যে পুরনো আমদানি দায় পরিশোধ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ কারণে ব্যাংকগুলো বেশি দামে ডলার কিনছে। এতে প্রবাসী আয় বেশি হয়। চলতি মাসের ২১ দিনে ২ বিলিয়নের বেশি রেমিটেন্স এসেছে। মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে 24.95 বিলিয়ন ডলার। এটি IMF দ্বারা প্রস্তাবিত BPM হিসাবে 19.95 বিলিয়ন ডলার। এবং ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ প্রায় 15.14 বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ব্যাংকগুলোর ডলারের সর্বোচ্চ নির্ধারিত দর ১২০ টাকা। যা গত জুনে ছিল 118 টাকা এবং 2023 সালের ডিসেম্বরে 110 টাকা। সেই অনুযায়ী, 1 বছরে ডলারের ঘোষিত হার 10 টাকা বেড়েছে। আর বাজারের বাস্তবতার সঙ্গে তুলনা করলে তা বেড়েছে ১৮ টাকা।

মতিঝিল এক্সচেঞ্জ হাউসের একজন বিক্রয়কর্মী জানান, প্রতি ডলার কেনা হচ্ছে ১২৭ টাকা ৫০ পয়সা এবং বিক্রি হচ্ছে ১২৮ টাকা ৩০ পয়সায়। কিন্তু বিকেলে তা বিক্রি হয় ১২৯ টাকায়। মাত্র ১০ দিন আগেও খোলা বাজারে ডলার লেনদেন হয়েছিল ১২৩-১২৪ টাকায়। মূলত ডিসেম্বরে ছুটি কাটাতে অনেকেই বিদেশে যান। যে কারণে ডলারের চাহিদা বাড়ছে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেন, ডলারের বাজারের অস্থিতিশীলতা খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। তারা নজরদারি জোরদার করেছে। ইতিমধ্যেই ডলার পাচারের সন্দেহে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের তথ্য চাওয়া হয়েছে। তাদের কেউ কেউ নির্ধারিত তারিখে তথ্য জমা দিয়েছেন। সবকিছু দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • ডলার
  • দাম
  • মন্তব্য করুন

    আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।