
প্রতীকী ছবি
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৯৩ জন রোগী এবং মৃত্যু হয়েছে একজনের। এ নিয়ে চলতি বছরে মোট মৃত্যু ৭৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০ হাজার ৩১৬। চলতি মাসে রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ২০ জন। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে। যদিও অধিদপ্তর শুধু ডেঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি রোগীর তথ্য দেয়। যারা বাড়িতে সেবা নেন, তাদের তথ্য যুক্ত করা হয় না। এ কারণে দেশে ঠিক কত মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন, সেই তথ্য জানা যায় না।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সবশেষ মারা যাওয়া ব্যক্তি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ বছর ২৯ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ৩৭ জনের। এ ছাড়া জুন মাসে ১৯ জন, জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে সাত এবং মে মাসে তিনজন মারা যান। মার্চ মাসে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। চলতি বছর ডেঙ্গুতে জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি ১০ হাজার ২০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন।
এ ছাড়া জুন মাসে পাঁচ হাজার ৯৫১ জন, জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪, মার্চে ৩৩৬, এপ্রিলে ৭০১ এবং মে মাসে এক হাজার ৭৭৩ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি নতুন রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০৬ জন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার। এ ছাড়া বরিশাল বিভাগে ১০১ জন, ঢাকা বিভাগে ৫২, ময়মনসিংহ বিভাগে একজন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৪, খুলনা বিভাগে ২৬, রাজশাহী বিভাগে ৩৮ এবং রংপুর বিভাগে পাঁচজন রোগী ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গু নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক হাজার ২৮৬ রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৩৫০ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ৯৩৬ জন।
দেশে এক বছরে সবচেয়ে বেশি তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ২০২৩ সালে। পরের বছর এই সংখ্যা ছিল এক লাখ এক হাজার ২১১। এ ছাড়া ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২ জন, ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯, ২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।