
হলে ছাত্ররাজনীতি বন্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে ছাত্র সংগঠনগুলো। ছাত্রদল বলছে, এ সিদ্ধান্তে ফলে ডাকসু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হবে। আর এই সিদ্ধান্তের পেছনে ষড়যন্ত্র দেখছে ছাত্র ইউনিয়ন। শনিবার ছাত্রসংগঠনগুলো আলাদা করে তাদের এই প্রতিক্রিয়া জানায়।
এর আগে, হল ইউনিটে ছাত্রদল কমিটি ঘোষণা করলে শুক্রবার রাতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর প্রভোস্ট কমিটি জানায়, হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধই থাকবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ইউনিটে ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর শুক্রবার রাতেই বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে ক্যাম্পাস। শনিবার এ নিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানায় ছাত্রদল, শিবির ও ছাত্র ইউনিয়ন।
শুক্রবার রাতের বিক্ষোভ সামাল দিতে, গত বছরের ১৭ জুলাই জারি করা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে প্রকাশ্য ও গুপ্ত ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তই বলবৎ রাখার কথা জানান প্রক্টর।
তবে, এ সিদ্ধান্তে নাখোশ ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন জানান, ক্যাম্পাস বা হলে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হলে তা ডাকসু নির্বাচনকেও প্রশ্নবিদ্ধ করবে।
হলকেন্দ্রিক রাজনীতি থেকে ছাত্র শিবির অনেক আগেই সরেছে জানিয়ে দলটির বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি এস এম ফরহাদ জানান, ছাত্ররাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত আসলে তা মানবে না তার দল। আমাদের রিকমেন্ডেশন ছিল রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা তাদের হলে থাকবে আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে। তার রাজনৈতিক পরিচয়ে কোনো ধরনের ফেবার পাওয়া কিংবা কোনো ধরনের চাপের মুখোমুখি হওয়ার কারণ হবে না।
একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মদদে কিছু শিক্ষার্থী ছাত্র রাজনীতি বন্ধের অপচেষ্টা করছে বলে অভিযোগ ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি মেঘমল্লার বসুর। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে তো তাদের কমিটি আছে। হলে যদি তাদের কমিটিও না থাকে হলে নিশ্চই তাদের নেতাকর্মী থাকবে। ফলে জবর-দখল বলেন বা গেস্টরুম বলেন, এগুলো তো তারা হল কমিটি ছাড়াও করতে পারবেন।’
পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে হল প্রশাসনের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্রসংগঠনের কমিটির নেতাদের পদত্যাগ করেই থাকতে হবে হলে।