
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় তারাবির নামাজ চলাকালীন তিলাওয়াতে ভুল ধরাকে কেন্দ্র করে মসজিদের ভেতরেই ইমামকে পিটিয়ে তার পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক তরুণের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আরও চার মুসল্লি আহত হয়েছেন। গত বুধবার (১৯ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চৌবাড়ী পশ্চিম পাড়া গ্রামে বায়তুল আমান জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নামাজ পড়ানোর সময় ইমাম মাওলানা আব্দুল্লাহ কিরাতের সময় ভুল করেন এবং তা নিজেই সংশোধন করে নামাজ শেষ করেন। নামাজ শেষে মোহাম্মদ তালহা নামের এক মুসল্লি মাইকে কথা বলতে সামনে এগিয়ে গিয়ে ইমাম আব্দুল্লাহ’র কাছ থেকে মাইকের মাউথপিস চান।
তিনি মাউথপিস দিতে অস্বীকৃতি জানালে তালহা উত্তেজিত হয়ে তাকে ঘুষি ও পরবর্তীতে মসজিদের কাঠের বাটামের লাঠি তুলে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে ইমামের পা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হন। পরে স্থানীয় মুসল্লিদের সহায়তায় আহত ওই ইমামকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। স্থানীয়রা জানান, ১৮ বছর বয়সী মোহাম্মদ তালহা নামের ওই যুবক নিজেও হাফেজ।
ওই মসজিদটি তার বাড়ির পাশে অবস্থিত। তিনি ওই মসজিদে ইমামতি করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু স্থানীয়রা তাকে ইমাম হিসেবে গ্রহণ করেনি। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে ইমাম হিসেবে গ্রহণ না করায় ক্ষোভ থেকে তিনি ইমাম আব্দুল্লাহকে মারধর করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোহাম্মদ তালহার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
কামারখন্দ থানার এসআই আব্দুল মান্নান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে উৎসুক জনতা পেয়েছি। হাসপাতাল থেকে ভুক্তভোগী ইমামের থানায় আসার কথা। থানায় এলে হয়তো বুঝতে পারব, তিনি লিখিত অভিযোগ দেবেন কি না।’