তেঁতুলিয়া টাইটান্স ক্লাবের উদ্বোধন করলেন ক্রিকেটার শরিফুল

Featured Image
PC Timer Logo
Main Logo

পঞ্চগড়: সীমান্তঘেঁষা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় নতুন ক্রীড়া সংগঠন ‘তেঁতুলিয়া টাইটান্স ক্লাব’ আত্মপ্রকাশ করেছে। জাতীয় ক্রিকেট দলের উদীয়মান পেসার এবং পঞ্চগড়ের কৃতী সন্তান শরিফুল ইসলাম কেক কেটে ক্লাবের উদ্বোধন করেন।

রোববার (৮ জুন) বিকেলে তেঁতুলিয়ার ঐতিহাসিক ডাকবাংলোর বেরং কমপ্লেক্সে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ক্লাবটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। ক্লাবটি এলাকার তরুণ ক্রীড়াপ্রেমী, অনুরাগী ও ক্রীড়াবিদদের নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল দলের প্রতিভাবান খেলোয়াড় মোরশেদ আলী।

এসময় অনুষ্ঠানে অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন রঞ্জু, ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব সরকার, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ সুমন, ক্রীড়া সংগঠক রুবেল হাসান, জাহাঙ্গীর আলম ও হাবিবুর রহমানসহ অনেকে।

তেঁতুলিয়া টাইটান্স ক্লাবের উদ্দেশ্য শুধু খেলার আয়োজন নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে স্থানীয় ক্রীড়াপ্রতিভা খুঁজে বের করা ও গড়ে তোলা। ফুটবল, ক্রিকেট, হ্যান্ডবল ও ভলিবল—সব ক্রীড়াখেত্রেই তারা নিয়মিত টুর্নামেন্ট আয়োজন ও প্রশিক্ষণ এবং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে উপজেলাকে জাতীয় পর্যায়ে পরিচিত করা।

অনুষ্ঠান শেষে জাতীয় দলের দুই কৃতি খেলোয়াড় শরিফুল ইসলাম ও মোরশেদ আলীকে তেঁতুলিয়া টাইটান্স ক্লাবের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

ক্রিকেটার শরিফুল ইসলাম বলেন,”আমার শেকড় এই অঞ্চলে। এখানকার তরুণরা অনেক মেধাবী। তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করলে একদিন এখান থেকেও জাতীয় দলগামী খেলোয়াড় তৈরি হবে। তেঁতুলিয়া টাইটান্স ক্লাবের উদ্যোগ আমাকে সত্যিই আনন্দিত করেছে। তাদের জন্য শুভ কামনা রইলো।

ফুটবলার মোরশেদ আলী জানান,”আমি নিজেও উপজেলা পর্যায় থেকেই উঠে এসেছি। এমন ক্লাব যদি আমাদের সময় থাকতো, আরও ভালো করতাম। এই ক্লাবের সঙ্গে থাকবো, যতটুকু পারি সহায়তা করবো।”

তেঁতুলিয়া টাইটান্স ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব সরকার বলেন,”আমাদের তেঁতুলিয়ার ক্রীড়ামুখী তরুণদের জন্য একটি স্থায়ী প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চাই। এই ক্লাব হবে তাদের স্বপ্ন পূরণের সোপান।”

এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে তেঁতুলিয়ার ক্রীড়াঙ্গনে নতুন প্রাণ সঞ্চার করবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ক্লাব স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে আলো ছড়াবে এমনটাই প্রত্যাশা তেঁতুলিয়াবাসীর।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।