
প্রতীকী ছবি
গাইবান্ধার সাঘাটা থানায় ঢুকে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মহসিন আলীর ওপর ছুরিকাঘাতের প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর পাশের একটি পুকুর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা থানার পেছনের সাঘাটা হাই স্কুলের পুকুর থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাঘাটা থানার ভেতরে ঢুকে এএসআই মহসিন আলীর মাথা ও হাতে ছুরিকাঘাত করে রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ওই অজ্ঞাত যুবক। ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাত ১০টার দিকে এক ব্যক্তি হঠাৎ থানার ভেতরে প্রবেশ করে দায়িত্বরত এএসআই মহসিন আলীকে ছুরিকাঘাত করে। পুলিশ সদস্য চিৎকার করলে থানা পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। তারা ওই দুর্বৃত্তকে ধাওয়া করলে সে দৌড়ে পাশের সাঘাটা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের পুকুরে লাফিয়ে পড়ে আত্মগোপন করে। পুকুরটি কচুরিপানায় পরিপূর্ণ হওয়ায় তাকে খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি।
ঘটনার পর থেকেই থানার পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয় শত শত মানুষ হামলাকারীকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চালায়। সবশেষ সকাল ৮টার দিকে ওই পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাদশা আলম গণমাধ্যমকে বলেন, হামলাকারীর মরদেহ ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এএসআই মহসিন আলী বর্তমানে সুস্থ আছেন। এদিকে আহত এএসআই মহসিন আলীকে বৃহস্পতিবার রাতেই সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছিল। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত।