আগামী বছর নির্দিষ্ট স্থানে থার্টি ফার্স্ট ও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে ডিএমপির গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সাজ্জাত আলী এ তথ্য জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সবার আগে ড. থার্টি ফার্স্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত হয় এটি বেশিরভাগ দেশেই নববর্ষ, আমাদের দেশে নয়। দ্বিতীয়ত, অন্যান্য দেশে, ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন একটি নির্দিষ্ট স্থানে অনুষ্ঠিত হয়, শহর জুড়ে আতশবাজি না করে। আমরা এ বছর ঢাকা শহরের একটি নির্দিষ্ট স্থানে থার্টি ফার্স্ট ও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের আয়োজন করার কথাও ভেবেছিলাম। কিন্তু এ বছর আমরা তা করতে পারিনি। আশা করছি আগামী বছর আমরা এর আয়োজন করব।
নগরবাসীর উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, শুধু পুলিশ বা পরিবেশ অধিদপ্তর দিয়ে শব্দদূষণ বন্ধ করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব রয়েছে। আমরা সকলের সহযোগিতা চাই।
এদিকে থার্টি ফার্স্ট ও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনকে ঘিরে ঢাকা মহানগরীতে কেমন পুলিশ মোতায়েন থাকবে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এসএন নজরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। প্রতিটি ফাঁড়িতে রাতে কমপক্ষে দুটি পেট্রোল টিম থাকে, থানা থেকে চার-পাঁচটি দল থাকে। এটি আমাদের নিয়মিত স্থাপনা। আজ শুধু থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে তিন হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলশান, ৩০০ ফুট, উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় আরও পুলিশ মোতায়েন করা হবে। আমাদের পুলিশ বাহিনী পরিবেশ অধিদপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেটদের সাথে থাকবে। তারা যেখানেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে আমাদের বাহিনী তাদের সহায়তা করবে।
সংবাদ সম্মেলনে থার্টি ফার্স্ট ও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস। এ সময় তিনি বলেন, নির্দেশ না মানলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন লঙ্ঘন করলে 5,000 টাকা জরিমানা বা এক মাসের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে। বারবার লঙ্ঘন করলে শাস্তি দ্বিগুণ হতে পারে। তিনি আরও বলেন, শব্দদূষণে প্রতি বছর ১২-১৫ হাজার মানুষ মারা যায়।