ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে ‘থার্টি ফার্স্ট’ রাতে আতশবাজি পোড়ানো ও পটকা ফোটানো থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় এ ধরনের কাজকে ‘দণ্ডনীয় অপরাধ’ বলেও অভিহিত করেছে। শুক্রবার এক প্রজ্ঞাপনে মন্ত্রণালয় এ আহ্বান জানিয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতি বছর একত্রিশের রাতে শহর জুড়ে পটকা ও পটকা ফোটানো হয়। বিভিন্ন স্থানে ফানুস ওড়ানোর সময় আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও লণ্ঠনের আগুনে সদ্য চালু হওয়া মেট্রো রেলের তারেরও ক্ষতি হয়, যার ফলে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, থার্টি ফার্স্ট নাইটে সারাদেশে আতশবাজি এবং পটকা ফাটানো হয় যা বিদ্যমান শব্দ ও বায়ু দূষণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এর আগে একত্রিশ তারিখ রাতে আতশবাজির শব্দে ভয় পেয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত এক শিশুর মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।
এ ধরনের আয়োজনে বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি তুলে ধরে মন্ত্রণালয় বলছে, অতিরিক্ত শব্দের কারণে শ্রবণশক্তি ও স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, ঘুমের ব্যাঘাত, উদ্বেগ, উত্তেজনা, উচ্চ রক্তচাপ, কানে বেজে যাওয়া, মাথা ঘোরা, হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া, মানসিক অস্থিরতা, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। মানুষের গাউট সহ বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা থাকতে পারে।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, 2006-এর বিধি 7 লঙ্ঘন করে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের সময় আতশবাজি এবং পটকা ফাটা বিধির 18 বিধি অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হবে।
আর আইন অমান্য করে পটকা পোড়ানোর জন্য এক মাসের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড এবং পটকা ফাটালে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।