
এবার আফগানিস্তানে দাবা খেলা নিষিদ্ধ করলো তালেবান সরকার। বুদ্ধিবৃত্তিক এই খেলাটি জুয়ায় আসক্তির উৎস হতে পারে কিনা, তা যাচাই করার আগ পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
তালেবান সরকারের ত্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অতল মাশওয়ানি বলেছেন, শরিয়া অনুযায়ী, জুয়া খেলার একটি মাধ্যম হচ্ছে দাবা। দাবা নিয়ে ধর্মীয় দিক থেকে কিছু পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে। সেই পর্যালোচনা সম্পন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত আফগানিস্তানে দাবা নিষিদ্ধ থাকবে।
তালেবান কর্তৃক নিষিদ্ধ কর্মকাণ্ডের তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন হলো দাবা খেলা। এর আগে, মার্শাল আর্টভিত্তিক জনপ্রিয় খেলা এমএমএ নিষিদ্ধ করেছে তালেবান সরকার। আর মেয়েদের খেলা তো নিষিদ্ধই, বরং জনসম্মুখে তাদের কণ্ঠস্বর কোনও পুরুষের কর্ণকুহরে প্রবেশ করলেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিধি জারি করা হয়েছে।
কাবুলের এক ক্যাফে মালিক আজিজুল্লাহ গুলজাদা এই সিদ্ধান্তের কোনও বিরোধিতা করেননি। তবে তালেবানের সিদ্ধান্তে তার ব্যবসার ক্ষতি হবে এবং তরুণদের মধ্যে আরও হতাশা বাড়বে- সে কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, তরুণদের এখন আর তেমন কোনও কাজ নেই। তারা বিকাল বেলা আমার এখানে এসে বসে বন্ধুরা মিলে দাবা খেলে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতা দখলের পর থেকে ধাপে ধাপে আফগানিস্তানে বিভিন্ন রকম আইন কানুন জারি করছে তালেবান সরকার। সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের রীতিনীতির একাধিক ক্ষেত্রে শরীয়া সম্মত না থাকার যুক্তিতে নতুনভাবে বিধি প্রণয়ন করছে তারা।