
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ভেঙে দিয়েছে কতিপয় ছাত্র-জনতা নামধারীরা। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে ও শনিবার সকালে দুই দফায় প্রতিকৃতিটি ভাঙা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রতিকৃতিটিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে শুক্রবার দুপুরে প্রথম দফায় প্রতিকৃতিতে ভাঙা হয়। আর শনিবার সকালে দ্বিতীয় দফায় ফের প্রতিকৃতিটি ভাঙা হয়।
কলারোয়া থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দুজন ব্যক্তি এসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে যায়। একজন ফুল দিয়েছে ও আরেকজন মোবাইল ফোনে তা ভিডিও করছিল।
এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা শাখার সাবেক আহ্বায়ক আরাফাত হোসাইন নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাঙা নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন। এতে তিনি দাবি করেন, প্রতিকৃতিটি ভাঙার সময় এতে বাধা দিয়েছে ইউএনও। পোস্টে আরাফাত লেখেন, ‘কলারোয়ায় মুজিব প্রতিকৃতি ভাঙতে ইউএনওর বাধা। বাহ, বাহ, ইউএনও বাহ! ডিসি মোস্তাক আহমেদ কি আওয়ামী পুষছে? ইউএনও কীভাবে মুজিবের প্রতিকৃতি রেখে অফিস করতো? এ জুলাই বিপ্লবের পরেও তিনি কীভাবে বলেন- ভাঙার দরকার নেই, এখানে আমরা অন্য কিছু বানাব।’
এ বিষয়ে ইউএনও মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে আমি ছুটিতে আছি, কলারোয়ায় নেই। একজন ছাত্র প্রতিনিধি পরিচয়ে আমাকে ফোন দিলে আমি তাকে বলেছিলাম স্থাপনাটি ভেঙো না, আমরা ওখানে কলারোয়া উপজেলার ম্যাপ লাগিয়ে দেব। প্রতিকৃতি ভাঙার ব্যাপারে কোনো ধরণের বাধা দেওয়া হয়নি।’