স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০০:২১
ঢাকা: বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, দেশে প্রথম সাংবিধানিক সংকট তৈরি করেছিলেন শেখ হাসিনা। ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা বাতিল করেছিলেন তিনি। এর পর থেকে দেড় দশক ভুয়া ও ডামি নির্বাচন করে দেশবাসীকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিলেন। ৩১ দফায় প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। দুইবারের বেশি কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। কারণ, এক ব্যক্তি দুইবারের বেশি ক্ষমতায় থাকলে তার ভেতরে ফ্যাসিস্ট এবং স্বৈরাচারী ভাব চলে আসে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির আয়োজনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রদত্ত ৩১ দফায় জনসম্পৃক্ততায় এক কর্মশালায় তিনি এ সব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক রফিকুল আলম মজনু।
ইশরাক হোসেন বলেন, ‘আজ রাষ্ট্রকে সংস্কার বা মেরামত জরুরি হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্র স্থায়ী, কিন্তু সরকার পরিবর্তনযোগ্য। তারেক রহমান রাষ্ট্র সংস্কারের যে ৩১ দফা দিয়েছেন তাতে কয়েকটি বিষয় নিশ্চিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বা কাঠামো তা স্থায়ী করা, যার মাধ্যমে আমরা স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র হিসেবে জনগণের কল্যাণে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারব। আওয়ামী লীগ সরকার নিজে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘৩১ দফায় সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। সেখানে সরকার দলীয় সদস্যরা সংসদে ক্ষমতাসীনদের বাইরে ভোট দিতে পারে না। জাতীয় স্বার্থ রক্ষায়ও তারা বিপক্ষে ভোট দিতে পারবে। দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টসহ নির্বাচন কমিশনকে সংস্কার করা হবে। আওয়ামী লীগ যেভাবে ইসিকে দলীয় অঙ্গ সংগঠনের মতো ব্যবহার করেছে, তা যেন আর কেউ না করতে পারে। ইভিএম মানে ভোট চুরির মেশিন, তা বাতিল করা হবে। এই মেশিনে ভোট দেয় এক জায়গায়, চলে যায় আরেক জায়গায়। এর ভুক্তভোগী আমি নিজেও ছিলাম।’
ইশরাক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছর দেশকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল। ২০০ টাকার বালিশ তিন হাজার, ৫০০ টাকার পর্দা ৩০ হাজার টাকায় কেনা হয়েছে। দশ হাজার কোটি টাকার কাজ ৩০ হাজার কোটি টাকায় করা হয়েছে। এভাবে ব্যাপক দুর্নীতি করে দেশের অর্থনীতিকে ফোকলা বানিয়ে ফেলেছে। দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করেছে। বিএনপি জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এলে এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স করা হবে। হাসিনার সহযোগী সকল মাফিয়া ব্যবসায়ীর শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে এবং পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনা হবে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন- বিএনপির বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সালাহ উদ্দীন আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, ছাত্রদল নেতা শামীম মাহমুদ, আবদুর রহিম ভূইয়া প্রমুখ।
বাংলানিউজবিডিহাব/এজেড/পিটিএম