
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ডাকাতির সময় শিশুর গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে এক গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পরে ডাকাতরা ঘরে থাকা স্বর্ণালংকারসহ প্রায় দুই লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের কায়ামারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রথম দিকে মামলা করতে ভুক্তভোগী পরিবারকে নিরুৎসাহিত করা হলেও এক সপ্তাহ পর সোমবার গৃহবধূ ও তার শ্বশুর দৌলতপুর থানায় দু’টি আলাদা মামলা করেন। এরপরই বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের নজরে আসে। এ ঘটনায় পুলিশ ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই রাতে স্থানীয় রুশুল মহলদারের ছেলে লাবু (৩৬), একই এলাকার তারিখ (৪২) ও সুবেলের (৩৫) নেতৃত্বে সাত থেকে আটজনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল প্রথমে পাশের আব্দুর রাজ্জাক কলেজপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে।
ফেরার পথে তারা ভুক্তভোগীর বাড়িতে ঢুকে তিন বছরের শিশুর গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গৃহবধূকে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর তারা ঘরে থাকা স্বর্ণালংকারসহ প্রায় দুই লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
পরিবারের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে গৃহবধূকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় গৃহবধূ ও তার শ্বশুর বাদী হয়ে পৃথক দু’টি মামলা করেন। ওই রাতেই দৌলতপুর থানার পুলিশ লাবু, সুবেল ও তারিখকে গ্রেপ্তার করে। ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোলাইমান শেখ জানান, মামলার পরপরই তিন আসামি লাবু, সুবেল ও তারিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।