
বরগুনায় নিজ বসতবাড়ির পেছনের ঝোপ থেকে মন্টু চন্দ্র দাস (৩৫) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিজের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগে মামলা করার সপ্তাহখানেকের মধ্যে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দিনগত রাতে তার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। ওই মামলার জেরে মন্টুকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তার স্বজনদের।
নিহত মন্টু চন্দ্র দাস বরগুনা পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কালিবাড়ি কড়ইতলা এলাকার মৃত জয়েশ্বর দাসের ছেলে। বরগুনা পৌর মুরগি বাজারের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন তিনি।
ঘটনাস্থলে মন্টুর মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল তদন্ত শেষে বরগুনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল হালিম এনটিভি অনলাইনকে জানান, মন্টুর মৃত্যুর বিষয়টি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহতের স্বজন ও পুলিশের ধারণা, গত সোমবার (১০ মার্চ) দিনগত রাতের কোনো এক সময় মন্টুকে হত্যা করা হয়েছে। তবে মঙ্গলবার দিনগত রাত ১টার দিকে স্বজনরা মন্টুর মরদেহ দেখতে পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ বিষয়টি জানতে পারে। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের স্ত্রী শিখা রানি দাস অভিযোগ করে বলেন, সপ্তাহখানেক আগে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা করেছিলেন মন্টু। সেই মামলার প্রধান আসামি জেল হাজতে রয়েছে। ওই আসামির বন্ধু ও স্বজনরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে তার ধারণা।
শিখা রানি দাস আরও জানান, তাদের তিন মেয়ে, এর মধ্যে ছোট সন্তানের বয়স মাত্র একমাস। মন্টুই ছিল পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল হালিম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মন্টুর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছি। প্রাথমিকভাবে মন্টুর মৃত্যু হত্যাকাণ্ড হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।