
নওগাঁর সাপাহার ও ধামইরহাট সীমান্তে সীমান্তে ১৮ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে তাদেরকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে নারী ও দুই শিশু রয়েছে।
বিজিবি জানায়, আটককৃতরা প্রায় চার–পাঁচ বছর আগে অবৈধভাবে ভারতের মুম্বাইয়ে গিয়ে বাসা–বাড়িতে কাজ করতেন। সম্প্রতি মুম্বাই পুলিশ তাদের আটক করে ‘চেকব্যাক’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের ছত্রাহাটি বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরে বৃহস্পতিবার রাতে বিএসএফ তাদের সীমান্ত গেট দিয়ে বের করে দেয় এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেয়। আটকদের বর্তমানে সাপাহার থানায় পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল আজিজ জানান, আটক ব্যক্তিদের ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।
অন্যদিকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ জেলার ধামরহাট সীমান্ত দিয়ে আরও ১৪ জনকে পুশইন করেছে। পরে তাদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আটককৃতরা হলেন-খুলনার মহারাজপুরের সাত্তার গাজীর ছেলে বাদশা মিয়া (২০) মো. ইমরান গাজী (৩৪), কয়রা থানার কয়রা গ্রামের রুহুল আমিন মোড়লের ছেলে নাজমুল হাসান (২৪), দিঘলিয়া থানার মাধবপুর গ্রামের প্রয়াত কাশেম শেখের মেয়ে সুমা মোল্লা, মোজাদ্ধের মোল্লার ছেলে রায়হান মোল্লা,নড়াইলের কালিয়া থানার বালাম শিকদারের মেয়ে নুপুর খানম (২২) আসমাউল শেখের মেয়ে আশিকা (৪) বালাম শেখের মেয়ে মুনিয়া খাতুন (১৮), রহিম শেখের মেয়ের রাকেয়া শেখ (২৮), গুড্ডু শিকদারের ছেলে বাবু শিকদার (১৭) কামাল শিকদারের মেয়ে প্রিয়া শিকদার, পেরুলিয়া গ্রামের মিলন শেখের মেয়ে ফাতেমা শেখ, (৭) কামাল শিকদারের মেয়ে ববিতা শিকদার (৩৫), যশোরের কোতয়ালী থানার বসুনন্দিয়া গ্রামের জহির আলী খানের মেয়ে মোছা. দুলি বেগম (৪০)। এসব লোকজন বিভিন্ন সময়ে সাতক্ষীরা ও বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতের মুম্মাই শহরে অবৈধভাবে বসবাস করছিল বলে সূত্র জানায়। আটক ১৪ জনকে ধামইরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিজিবির তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাফর ইমাম জানান, এরকম একটি ঘটনা শুনেছি। তবে বিজিবি কর্তৃপক্ষ কাউকে এখনও থানায় হস্তান্তর করেনি। থানায় হস্তান্তর করলে তখন বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।