
ঈদুল আজহার আগে নতুন নকশার নোট ইস্যু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাজারে ছাড়া নতুন নকশার ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নোটের বৈশিষ্ট্য হালনাগাদ না করায় ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম (অটোমেটেড টেলার মেশিন), সিআরএম (ক্যাশ রিসাইক্লিং মেশিন) ও মেট্রোরেলের ভেন্ডিং মেশিনে নতুন নোট জমা বা ব্যবহার করতে পারছেন না গ্রাহকেরা। কোনো কোনো ব্যাংক সমস্যাটির সমাধান করতে পারলেও অধিকাংশ ব্যাংক তা পারছে না। নতুন নোট নিয়ে এ ভোগান্তি পুরোপুরি কাটতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, সিআরএম ও অন্যান্য স্বয়ংক্রিয় মেশিনে নতুন নোট শনাক্ত করার জন্য সফটওয়্যার আপডেট প্রয়োজন। ইতিমধ্যে মেশিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজ শুরু হয়েছে। ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হবে বলে জানানো হয়েছে।
কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কর্মকর্তা জানান, এটিএমে বুথে এখনো নতুন নোট দেওয়া হয়নি বললেই চলে। সে জন্য সমস্যা খুব হচ্ছে না। অভিযোগও কম। কিন্তু সিআরএম মেশিনে সফটওয়্যার আপডেট না হওয়ায় মেশিন নতুন নোটকে শনাক্ত করতে পারছে না। ফলে নতুন টাকা জমা দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন হাজার হাজার গ্রাহক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে বলেন, এটিএম বা সিআরআম মেশিনের যে সফটওয়্যার তাতে কিন্তু নোটটাকে চেনাতে হয়। অন্যথায় সফটওয়্যার এটাকে শুধু কাগজ হিসেবে গণনা করবে এবং কাগজ সেখানে ইনসার্ট করার কোনো সুযোগ নেই। এ কারণে সে এটাকে বাতিল করবে। মূলত নতুন নকশার নোটের বৈশিষ্ট্য সিস্টেমে হালনাগাদ করা জরুরি। ব্যাংকগুলো নিজেদের গরজে দ্রুত সমাধান করবে বলে আশা করা যায়।