
চাঁদা না দেওয়ায় নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আহম্মদপুর বাজারের ১০টি দোকানে তালা লাগিয়ে দখলে নেওয়ার অভিযোগে জামায়াত নেতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে দোকানগুলো দখলমুক্ত করা হয় এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন জোয়াড়ী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি রুহুল আমিন (৪৫), তার ভাই জামায়াত কর্মী আজিমুদ্দিন (৪০), স্থানীয় বিএনপিকর্মী হায়দার আলী (৪৫) ও তার বাবা মুজিবর রহমান (৭০)। মঙ্গলবার সকালে তাদের নাটোর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানা সূত্রে জানা যায়, নওপাড়া গ্রামের কোরবান আলী, শাহ আলম ও মোতালেব হোসেন প্রায় ৭০ বছর ধরে আহম্মদপুর বাজারে তাদের মালিকানাধীন জমিতে ১০টি দোকান ভোগদখলে রেখেছেন। কিন্তু অভিযুক্তরা হঠাৎ দোকানপ্রতি মাসে ৫,০০০ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এতে রাজি না হওয়ায় সোমবার দুপুরে ৪০-৫০ জন সহযোগী নিয়ে দোকানগুলোতে তালা লাগিয়ে দখলে নেন এবং ব্যবসায়ীদের প্রাণনাশের হুমকি দেন।
ব্যবসায়ীরা বিষয়টি সেনা ক্যাম্প ও থানায় জানালে বিকেলে যৌথ অভিযান চালিয়ে দোকানগুলো মুক্ত করে প্রকৃত মালিকদের জিম্মায় দেয়। একইসঙ্গে চাঁদাবাজির অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়।
ভুক্তভোগী মোতালেব হোসেন বলেন, আমরা ৭০ বছর ধরে দোকানের জমি ভোগ করছি। তারা জোর করে ভাড়া আদায়ের চেষ্টা করছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় আমরা কৃতজ্ঞ। তবে গ্রেপ্তারের আগে জামায়াত নেতা রুহুল আমিন বলেন, জমির মালিক আমরা। তাই ভাড়া চেয়েছি, চাঁদা নয়। যদিও দোকানে তালা দেওয়া ঠিক হয়নি বলে তিনি স্বীকার করেন তিনি।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার হোসেন জানান, চাঁদাবাজির মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সেনাবাহিনী অভিযুক্তদের আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।