নামাজের ওয়াজিব কয়টি আপনি নিশ্চয় জানেন আর ওয়াজিব কাজ বলতে বুঝায় ঐ সব কাজকে যার কোনো একটিও বাদ গেলে সিজদায়ে সাহু আদায় করতে হয়। জদি কোনো কারনে, সিজদায়ে সাহু আদায় করতে ভুলে যাই তাহলে পুনরায় নামাজ পড়তে হয়।  মনে রাখবেন, নামাজের ওয়াজিবগুলো যথাযথ আদায় না করলে নামাজ হবে না।

নামাজের ওয়াজিব কয়টি

নামাজের ১৪টি ওয়াজিব  সঠিকভাবে পালন না করলে আপনার নামাজ সহিভাবে হবে।

০১. প্রত্যেক নামাজে সুরা ফাতিহা (আলহামদুলিল্লাহ) পড়া।

০২. প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য একটি সুরা বা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ মেলানো।

০৩. ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাআতকে কিরাতের জন্য নির্ধারিত করা।

০৪. কিরাআত, রুকু, সিজদার মধ্যে ক্রমধারা বা তারতিব ঠিক রাখা।

০৫.  নামাজের সব রুকন ধীরস্থিরভাবে আদায় করা (অর্থাৎ রুকু, সিজদা ও রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে এবং দুই সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে বসে কমপক্ষে এক তাসবিহ পরিমাণ দেরি করা)।

০৬. জলসা করা অর্থাৎ দুই সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে বসা।

০৭. তাদিলে আরকান করা অর্থাৎ রুকু, সিজদা, কাওমা, জলসায় কমপক্ষে এক তাসবিহ পরিমাণ স্থির থাকা। যাতে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ যথাস্থানে পৌঁছে যায়।

০৮. কাদায়ে ওলা অর্থাৎ তিন বা চার রাকাআত বিশিষ্ট নামাজে দুই রাকাআত পর আত্তাহিয়াতু পড়া বা সম-পরিমাণ সময় বসা।

০৯. প্রথম ও শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়াতু পড়া।

১০. জাহেরি নামাজে প্রথম দুই রাকাআত ইমামের জন্য উচ্চস্বরে কিরাআত পড়া এবং সিররি নামাজের মধ্যে ইমাম ও একাকি নামাজির অনুচ্চ শব্দে কিরাআত পড়া।

১১. সালাম ফিরানো। অর্থাৎ ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বলে নামাজ শেষ করা।

১২. বিতরের নামাজের দোয়ায়ে কুনুত পড়ার জন্য অতিরিক্ত তাকবির বলা এবং দোয়ায়ে কুনুত পড়া।

১৩. দুই ঈদের নামাজে ছয় ছয় তাকবির বলা।

১৪. প্রত্যেক রাকাআতের ফরজ এবং ওয়াজিবগুলোর তারতিব (ধারাবাহিকতা) ঠিক রাখা।

আরো জানুনঃ