প্রতীকী ছবি
নারায়ণগঞ্জের মো. সিয়াম (১৭) নামে এক কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন পিলকুনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্বজনরা জানান, সিয়ামকে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় তার বন্ধু মিলন (১৬)কেও মারধর করা হয়। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত সিয়ামের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান। বাবা আব্দুল হালিম ফতুল্লার পিলকুনি এলাকায় ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকেন। সিয়াম পেয়ারাবাগান এলাকায় একটি হোসিয়ারি কারখানায় কাজ করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিয়াম ও মিলনকে একটি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায় একদল কিশোর। পরে সেগুলো কেটে আবার একই এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়। স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক সিয়ামকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত মিলনকে চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
সিয়ামের বাবা আব্দুল হালিম জানান, তার ছেলে বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিল। একটু সুস্থ হওয়ার পর ১৫ দিনের জন্য আবার কাজে যোগ দেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কয়েকজন ছেলে খবর পায় সিয়াম রেগে যায়। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান।
হালিমের মন্তব্য, শুনেছি, আমার পোলারে পুরানো বিরোধের কিছু তিক্ততা জ্বলছে। কিন্তু আমি জানি না দ্বন্দ্ব কি।
সিয়ামের বন্ধু রাব্বি জানান, কয়েক মাস আগে এলাকার কয়েকজন কিশোরের সঙ্গে তাদের ঝগড়া হয়। এতে হাতাহাতি হয়। ওই দ্বন্দ্বের কারণে সিয়াম ও মিলন রেগে গিয়েছিলেন বলে তিনি মনে করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম জানান, পুরনো বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষরা দুই বন্ধুকে হত্যা করে। এ ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে কয়েকজনের নাম জানতে পেরেছে পুলিশ। তাদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। এ ঘটনায় সিয়ামের মা হালিমা খাতুন বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে ১০ জন নামধারীসহ ১২-১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।