জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর আব্দুল মালেক খান ফতু (৬০) নামে এক কৃষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার জিন্দাপুর ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামের পূর্ব কুজাইল দীঘি বড় কোদালের আলু ক্ষেত থেকে ওই কৃষকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আব্দুল মালেক খান ফতু উপজেলার করিমপুর গ্রামের মৃত ওফিল উদ্দিন খানের ছেলে। তিনি পার্শ্ববর্তী বেগুনগ্রাম ফাজিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ছিলেন। কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন আব্দুল মালেক। রাতে বাসায় না আসায় মোবাইল ফোনে বারবার রিং করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ সময় মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়নি।
অবশেষে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় এক কৃষক মাঠে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। এসময় পরিবারের লোকজন মাঠে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় মোটরসাইকেলটি রাস্তার পাশে পড়ে যায়।
নিহতের ছেলে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমার বাবা বৃহস্পতিবার বিকেলে মোটরসাইকেল নিয়ে চৌমুহনী বাজারে গেলে রাতে আর বাসায় ফেরেননি। সারা রাত খোঁজাখুঁজির পর সকালে থানায় গিয়ে পুলিশকে খবর দেই। বাসায় আসার পর শুনি ক্ষেতে আলু পড়ে আছে। সেখানে গিয়ে দেখি বাবার লাশ।
নিহতের স্ত্রী জমিলা বেগম জানান, স্থানীয়ভাবে গভীর টিউবওয়েল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে। এর ফলে গত কয়েক মাসে আমাদের মাঠের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। আমাদের সন্দেহ যে তারা আমার স্বামীকে হত্যা করে আলুক্ষে রেখে গেছে।