
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি সরকার মেনে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। আজ মঙ্গলবার সকালে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে গিয়ে আলোচনার পর এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ কলেজের ৫ নম্বর ভবনের সামনে এ তথ্য জানান উপদেষ্টা। এ সময় দুই উপদেষ্টাসহ প্রেসসচিব শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কলেজের দুর্ঘটনাকবলিত হায়দার আলী ভবন পরিদর্শন করেন আইন উপদেষ্টাসহ শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শিক্ষার্থীদের দেওয়া ৬ দফা দাবি হল— এক. নিহতদের সঠিক নাম ও তথ্য প্রকাশ করতে হবে। দুই. আহতদের সম্পূর্ণ ও নির্ভুল তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তিন. শিক্ষকদের গায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যদের হাত তোলা— এই জঘন্য ঘটনার জন্য জনসমক্ষে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। চার. নিহত প্রতিটি শিক্ষার্থীর পরিবারকে বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। পাঁচ. বিমানবাহিনীর ব্যবহৃত ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরনো প্লেনগুলো বাতিল করে আধুনিক প্লেন চালু করতে হবে। ছয়. বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণপদ্ধতি ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র পরিবর্তন করে আরো মানবিক ও নিরাপদ ব্যবস্থা চালু করতে হবে। এসব দাবিতে সকাল থেকে বিক্ষোভ করছিলেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।
গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হয়। গতকাল সোমবার বেলা ১টা ৬ মিনিটে রাজধানীর কুর্মিটোলার বিমানবাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমানটি স্কুল চত্বরের একটি দোতলা ভবনের ওপর এসে বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৭৮ জন।