
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন। প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাউডেল শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে শপথবাক্য পাঠ করান। তিনি নেপালের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী এবং শীর্ষ পদে নিযুক্ত হলেন। নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, নতুন এই সরকারকে ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের ম্যান্ডেট দেওয়া হয়েছে।
এক প্রতিবেদনে নেপালের খবর হাব জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট পাউডেল সংবিধানের ৬১ অনুচ্ছেদের অধীনে সুশীলা কার্কিকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। ২০১৫ সালে নতুন সংবিধান প্রণয়নের পর থেকে পূর্ববর্তী সমস্ত সরকার ৭৬ অনুচ্ছেদের অধীনে গঠিত হয়েছিল। এটি একটি উল্লেখযোগ্য সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত।
নেপালের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে দিনব্যাপী আলোচনার পর একটি রাজনৈতিক চুক্তি সই হয়েছে। জেন-জি আন্দোলন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তির প্রধান দাবির সঙ্গে মিল রেখে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হচ্ছে।
তীব্র আলোচনার পর শীর্ষ দলগুলোর নেতারাও কার্কির নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেন।
প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের সূত্রের বরাতে খবর হাব জানিয়েছে, পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পরেই কার্কিকে তার কাজে নিযুক্ত করা হবে।
অভিজাতদের বিরুধে দুর্নীতিবিরোধী তীব্র বিক্ষোভের ফলে কেপি শর্মা অলি পদত্যাগের পর দেশটি রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। চলতি সপ্তাহের এই বিক্ষোভে ৫১ জন নিহত এবং ১ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞার ফলে এই সহিংসতা শুরু হয়েছিল। যদিও এটি এখন প্রত্যাহার করা হয়েছে। অলির পদত্যাগের পর সহিংসতা কমতে থাকে।
প্রসঙ্গত, নেপালের প্রথম এবং একমাত্র নারী প্রধান বিচারপতি ৭৩ বছর বয়সী কার্কি সততা, নিষ্ঠা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থানের জন্য পরিচিত।