
পল্লবীর দিয়াবাড়ি এলাকায় মেট্রোরেল পিলারের পাশে লেকের পাশ থেকে শিশুর লাশ উদ্ধারের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ছয় মাস বয়সী আমেনা পরকীয়ার শিকার হয়।
তার মা এবং কথিত প্রেমিকের মধ্যে একটি অন্তরঙ্গ মুহূর্ত শিশুর কান্নার দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে তারা স্যুপে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে শিশুটিকে অচেতন করে। পরে বালিশ চেপে ও গলায় দড়ি বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় আমেনাকে।
এ ঘটনায় জড়িত শিশুটির মা ফাতেমা বেগম ও তার প্রেমিক মো. শুক্রবার গভীর রাতে পল্লবী এলাকা থেকে জাফরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে ফাতেমা আজ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। জাফরকে ছয় দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পল্লবী থানা পুলিশ।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শুক্রবার পল্লবী এলাকা থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে শিশুটির মা ফাতেমা বেগমকে আটক করা হয়। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করেন এবং ফাতেমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শিশুটির মায়ের জাফর নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বলে নিশ্চিত হন।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ধৃত দুজনেই বিবাহিত এবং পল্লবী এলাকায় থাকেন। জাফর একটি পোশাক কারখানায় কাজ করে। ওই কারখানায় আগে কাজ করার সুবাদে জাফরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ফাতেমার। ফাতেমার স্বামী গ্রিল মেকানিকের কাজ করেন, তাই তাকে প্রায়ই ব্যবসার জন্য বাড়ি থেকে দূরে থাকতে হয়। এ সুযোগে তারা দীর্ঘদিন পরকীয়া করে।
৫ ডিসেম্বর রাত ৮টায় অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর জন্য জাফর ফাতেমার বাড়িতে যান। ওই সময় শিশুটি কাঁদলে তারা বিরক্ত হয়। এ কারণে শিশুটিকে নৃশংসভাবে হত্যার পর লাশ বিছানার চাদর দিয়ে মুড়িয়ে কাপড়ের শপিং ব্যাগের ভেতরে রাখে। শেষে জাফর শিশুটির লাশ মেট্রোরেলের একটি পিলারের কাছে একটি শপিং ব্যাগে ফেলে দেয়।