স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:১২ | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:২৬
‘বাংলাদেশে সিসা দূষণ হ্রাসের সক্ষমতা উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
ঢাকা: শুধু সরকারের ওপর নির্ভর করলে হবে না, শিল্পকারখানাকে নিজ দায়িত্বে দূষণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘বাংলাদেশে সিসা দূষণ হ্রাসের সক্ষমতা উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সহযোগী, বিশেষ করে ফ্রান্সের সহায়তায় পরিবেশ অধিদফতর এখন একটি সময়সীমাবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে পারে। সব দূষণকারী শিল্পের বিরুদ্ধে একসঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব না হলেও, যেগুলোর পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই, সেগুলোর বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
তিনি বলেন, শিল্প বন্ধ করা উদ্দেশ্য নয় বরং তাদের ছাড়পত্র গ্রহণে বাধ্য করা এবং পুনর্বাসন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা জরুরি। পরিবেশগত ছাড়পত্রে নিয়মিত পুনর্বাসন কার্যক্রমের শর্ত সংযুক্ত করা উচিত, যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।’ এ ছাড়া শিল্পকারখানাগুলোকে প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পরিবেশ উপদেষ্টা একটি দূষণ পুনর্বাসন তহবিল গঠনের প্রস্তাব দেন, যেখানে শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা দেবে। সফল পুনর্বাসনের পর তা ফেরত দেওয়া হবে, আর ব্যর্থ হলে সরকার ওই অর্থ দিয়ে পরিচ্ছন্নতার কাজ করবে। এ ছাড়াও তদারকি ও বাস্তবায়ন জোরদারে স্থানীয় জনগণের সম্পৃক্ততার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) মাল্টিস্টেকহোল্ডার স্টিয়ারিং কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
এতে সিসাযুক্ত ব্যাটারির পরিবর্তে লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যবহারে কর নীতির পরিবর্তন সহজ হয়। পাশাপাশি, বাংলাদেশ মান নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠানকে (বিএসটিআই) দূষণ নিয়ন্ত্রণের মানদণ্ড দ্রুত নির্ধারণের আহ্বান জানান।
সিসা দূষণের স্বাস্থ্যঝুঁকি তুলে ধরতে চিকিৎসকদেরও এই কমিটিতে রাখা উচিত বলে মন্তব্য করেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক শেখ সাইদুল হক, আইসিডিডিআরবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মায়া ভ্যানডেনেন্ট, পিওর আর্থ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মিতালী দাস এবং ইয়ুথনেট গ্লোবাল এর এক্সিকিউটিভ কোওর্ডিনেটর সোহানুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
বাংলানিউজবিডিহাব/এফএন/এইচআই