পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফি কত – পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার জন্য প্রথমে আপনাকে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে। ফর্ম পূরণের সময় আপনার নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, জন্ম তারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য চাহিদাকৃত বিদ্যুৎ লোড ইত্যাদি তথ্য দিতে হবে।

ফর্ম পূরণের পর আপনাকে আবেদন ফি ১১৫ টাকা অনলাইনে জমা দিতে হবে। আপনি চাইলে বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে নগদ টাকায়ও আবেদন ফি জমা দিতে পারেন। আপনি সরাসরি অফিসে বা রকেটে যেভাবেই জমা দেননা কেন খরচের পরিমান একই।

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফি কত

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফি মাত্র ১১৫ টাকা। আপনি অনলাইনে বা বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদন করলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা জমা দিতে হবে। বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে আবেদন করলে নগদ টাকা জমা দিতে পারবেন।

আবেদন ফি জমা দেওয়ার পর আপনাকে একটি ট্র্যাকিং আইডি এবং পিন নম্বর দেওয়া হবে। এই ট্র্যাকিং আইডি এবং পিন নম্বর দিয়ে আপনি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার আবেদনের অবস্থা জানতে পারবেন।

আপনার আবেদন অনুমোদিত হলে আপনাকে বিদ্যুৎ অফিস থেকে একটি পত্র পাঠানো হবে। এই পত্রের সাথে আপনাকে যেসব কাগজপত্র জমা দিতে হবে সেগুলো হলো:

  • আবেদন ফর্মের মূল কপি
  • আবেদন ফি জমার রশিদ
  • জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
  • জমির মালিকানা থাকলে জমির মালিকানা সনদ
  • ভবন মালিকানা থাকলে ভবন মালিকানা সনদ

সব কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর বিদ্যুৎ অফিস থেকে একজন ইলেকট্রিশিয়ান আপনার বাড়িতে এসে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ করবেন। এই কাজের জন্য আপনাকে ৪৫০ টাকা ফি দিতে হবে।

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার স্থানান্তর ফি

আপনার বাসা বাড়ির পল্লী বিদ্যুৎ মিটার স্থানান্তর করতে চাইলে ৫০০ টাকা ফি দিতে হবে। বিদ্যুৎ অফিস থেকে মিটার স্থানান্তর ফরম নিয়ে পূরণ করে অফিসে জমা দিতে হবে। অফিসে ফরম জমা দেওয়ার ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মিটার স্থানান্তর করা হবে।

আপনার বাড়ির ঠিকানা পরিবর্তন হলে বা বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য নতুন মিটার লাগলে আপনাকে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার স্থানান্তর করতে হবে।

মিটার স্থানান্তরের জন্য আপনাকে বিদ্যুৎ অফিস থেকে একটি ফরম নিতে হবে। এই ফর্ম পূরণের পর আপনাকে ৫০০ টাকা ফি জমা দিতে হবে।

ফি জমা দেওয়ার পর বিদ্যুৎ অফিস থেকে একজন ইলেকট্রিশিয়ান আপনার বাড়িতে এসে বিদ্যুৎ মিটার স্থানান্তর করবেন।

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন সংক্রান্ত কিছু টিপস

  • আবেদন ফর্ম পূরণের সময় অবশ্যই সঠিক তথ্য দিন।
  • আবেদন ফি জমা দেওয়ার সময় অবশ্যই রশিদ সংগ্রহ করুন।
  • কাগজপত্র জমা দেওয়ার সময় অবশ্যই মূল কপি এবং ফটোকপি উভয়ই জমা দিন।
  • বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য প্রয়োজনীয় সময় হলো ১৫ থেকে ৩০ দিন।

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন সংক্রান্ত কিছু সতর্কতা

  • অনেকে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদনের জন্য দালালদের দিয়ে কাজ করান। দালালদের মাধ্যমে কাজ করালে আপনার খরচ বেশি হতে পারে। তাই নিজেই কাজ করলে খরচ কম হবে।
  • পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা দাবি করা হলে তা দেবেন না। অতিরিক্ত টাকা দেওয়া হলে আপনি হয়রানির শিকার হতে পারেন।

নতুন বিদুৎ সংযোগ ফি

আপনারা যারা নতুন বিদুৎ সংযোগ নিতে চাচ্ছেন তাদের মিটার ফি বাবদ অনলাইনে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ১১৫ টাকা জমা দিতে হবে।

মিটার আবেদন ফি জমা দেওয়ার নিয়ম

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফি দুই ভাবে জমা দিতে পারবেন। যেমন,

  1. বিদুৎ অফিসে নগদ পরিশোধ
  2. মোবাইল ব্যাংকি রকেট এর মাধ্যমে পরিশোধ
  3. Rocket এর মাধ্যমে খুব সহজেই। নিচের ভিডিওতে সকল তথ্য দেয়া হয়েছে।

মোবাইল ব্যাংকি রকেটের মাধ্যমে ফি পরিশোধের নিয়ম

মোবাইল ব্যাংকি রকেটের মাধ্যমে ফি পরিশোধের নিয়ম নিচে ছবির মাধ্যমে দেখানো হয়েছে।

প্রথমে আমরা এসএমএসে যে আপনি বিলে আইডিটি চলে গেছে সেগুলো আইডিতে আপনার কম্পিউটারের মাধ্যমে অথবা মোবাইলের মাধ্যমে এখানে দেখতে পারবেন তো আমরা কম্পিউটারের মাধ্যমে খুঁজে বের করব

  • রকেটে অ্যাপসে যাবেন যাওয়ার পর আপনার মোবাইল ব্যাংকিং যে আপ্স আছে তা পাসওয়ার্ডটি দিয়ে লগিন করবেন।
  • তার পর দেখবেন আপনি পে বিল অপশন আছে এখানে পে বিল অপশনে এ ক্লিক করবেন।
  • ক্লিক করার পর এখানে সর্চ বক্সে লিখবেন 477 এখানে লিখতে হবে, লিখলে সঙ্গে আসবে  “Palli Bidyut Jamanat” এখানে ক্লিক করবেন।
  • ক্লিক করার পর এখানে আপনার বিলের আইডি অথবা রেফারেন্স নাম্বার, আপনি যে বিলের আডি অথবা রেফারেন্স নাম্বার সংগ্রহ করলাম সেগুলো যেখানে দিয়ে দিব
  • তারপর এখানে আবার ট্রেকিং নাম্বার  দিবেন।
  • এর পর আদার্স অথবা নিজের সিলেক্ট করবেন।
  • তার যে মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করেছেন সেটি দিতে হবে। আপনি যে অ্যাপ্লিকেশন করার সময় যে মোবাইল নাম্বারটি ব্যবহার করছিলেন সেটি ব্যবহার করবেন এখানে মোবাইল নাম্বারটি এখানে টাইপ করবেন
  • এর পর ভেলিডেটে ক্লিক করে সেভ করবেন।

মোবাইল ব্যাংকিং  রকেটের মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুৎ জামানত ফি প্রদান করতে অসুবিধা হলে নিচের ভিডিও দেখুন।

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফরম

অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফরমে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করলে, আর সাথে ফি পরিশোধ করে দিলে, অন্য কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না। নিচে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম ও ফরম পূরণ করার উপায় দেখানো হল-

  • আপনার ফোন থেকে বা কম্পিউটার থেকে যেকোনো ওয়েবসাইটে  প্রবেশ করুন। 
  • সেখান থেকে rebpbs এ ভিজিট করে, মেনু অপশন সিলেক্ট করুন।
  • এরপর আবেদন বাটনে ক্লিক করুন।

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফরম

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফরম
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফরম

এই পর্যায়ে ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্র এবং খারিজ আপলোড করুন। অপলোড করার ক্ষেত্রে ফরমে উল্লেখিত সাইজে আবেদনের আগেই আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারে একটি ফোল্ডারে সংরক্ষণ করুন। তারপর সহজেই আপলোড করতে পারবেন।

অতঃপর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কিছু শর্ত রয়েছে সেগুলোর সাথে একমত আছেন এই মর্মে পাশে রাখা খালি বক্সে টিক চিহ্ন দিন।

সব শেষে একটি ক্যাপচা কোড পূরণ করুন(ইংরেজীতে) এবং সংরক্ষণ করুন বাটনে ক্লিক করতে হবে। এভাবে আপনার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

আরো জানতে পারোঃ

রেড মার্ক দেখাবে সেগুলো অবশ্যই ভরাট করা বাধ্যতামূলক। 

👉 আপনি বর্তমানে যে অঞ্চলে আছেন, অর্থাৎ আপনি যেখানে মিটার সেট করতে চান সেই অঞ্চলের ঠিকানা অনুসারে পল্লী বিদ্যুতের নিকটতম শাখা এবং জোনাল অফিস নির্বাচন করুন।

👉 যদি এটি একটি ঘর হয়, তাহলে সেখানকার অপশন থেকে LT-A নির্বাচন করতে হবে। এবং যদি এটি একটি ফ্ল্যাট হয়, যার অর্থ একটি বহুতল বিল্ডিং যার অনেকগুলি বাড়ি, তাহলে MT-A নির্বাচন করুন৷

👉 এরপর সেখানে আবেদনকারীর তথ্য চাওয়া হবে। আপনার নাম, আপনার পিতার নাম, আপনার মায়ের নাম জানতে চাইবে। বাংলায় লিখতে হবে। এর পরে, অন্যান্য যে তথ্য চাওয়া হবে, তা অবশ্যই সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
পরবর্তীতে আপনাকে আপনার স্থায়ী ঠিকানা লিখতে হবে। উপজেলা, জেলা, গ্রাম সবকিছু ঠিকঠাক দিতে হবে।

👉 যেখানে আপনি মিটার স্থাপন করবেন সেই স্থান সম্পর্কে আপনাকে তথ্য দিতে হবে। সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করা আবশ্যক.

👉 সার্ভিস পোল থেকে দূরত্ব-ও দিতে হবে। এটি ভালভাবে পরিমাপ করা উচিত।

👉 তারপর আপনাকে দিতে হবে আপনি স্থায়ী বা অস্থায়ী মিটার পাবেন কিনা।
লোড, ওয়াটেজ সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করুন।

👉 এরপর আপনাকে সমস্ত প্রয়োজনীয় ছবি আপলোড করতে হবে। ছবির মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি, নিজের ছবি, দাবিত্যাগ ইত্যাদি আবেদন করতে হবে।

👉 এরপর সেখানে কিছু শর্ত উল্লেখ করা হবে এবং আপনি যে শর্তে সম্মত হন সে অনুযায়ী বাম পাশের টিক চিহ্নে ক্লিক করে প্রকাশ করুন।
👉 সবশেষে সেভ দিয়ে সেভ করুন।

 

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার জন্য আপনাকে প্রথমে পল্লী বিদ্যুতের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। ওয়েবসাইটে গিয়ে “নতুন সংযোগ” অপশনে ক্লিক করুন।

এরপর একটি ফর্ম আসবে, যেখানে আপনাকে আপনার নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, মোবাইল নম্বর, ইমেইল ঠিকানা, ইত্যাদি তথ্য দিতে হবে। লাল রংয়ের তথ্যগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে।

সব তথ্য পূরণ হয়ে গেলে “সংরক্ষণ” বাটনে ক্লিক করুন। এরপর “ওয়ারিং নিশ্চিত করুন” অপশনে ক্লিক করুন। এখানে আপনাকে আপনার বাড়ির ওয়্যারিংয়ের ট্যাকিং নম্বর এবং পিন নম্বর দিতে হবে।

সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ হয়ে গেলে “সাবমিট” বাটনে ক্লিক করুন। আপনার আবেদন সম্পন্ন হয়ে যাবে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য

আবেদন করার আগে আপনার ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং জমির উত্তরাধিকার সনদ স্ক্যান করে নির্দিষ্ট সাইজে ক্রপ করে নিতে হবে।
আবেদন করার সময় আপনার ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং জমির উত্তরাধিকার সনদের স্ক্যান কপি সংযুক্ত করতে হবে।

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার জন্য এর নিয়ম কারণ জানতে হবে। বিদ্যুৎ মিটার আবেদন এর নিয়ম আমি ধাপ আকারে দিয়ে দিয়েছি। ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

  • প্রথমে পল্লী বিদ্যুতের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট www.rebpbs.com প্রবেশ করুন।
  • এরপর অনলাইন ফর্ম এ সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন।
  • মনে রাখবেন লাল রংয়ের তথ্যগুলো আপনাকে অবশ্যই পুরন করতে হবে।
  • এরপর আবেদন ফরম সংরক্ষণ করে সর্বশেষে ওয়্যারিং( বাড়ির কারেন্টের কাজ ) নিশ্চিত করে আবেদন সম্পন্ন করুন।
  • ওয়ারিং এর জায়গায় ট্যাকিং নম্বর ও পিন নম্বর দিয়ে তারপর সাবমিট করবেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: আবেদন করার পূর্বে আবেদনকারীর ছবি (300*300 পিক্সেল) সর্বোচ্চ 150KB, জাতীয় পরিচয়পত্র (600*475 পিক্সেল) সর্বোচ্চ 300 KB, জমির উত্তরাধিকার সনদ- সর্বোচ্চ 700 KB স্ক্যান করে নির্দিষ্ট সাইজে ক্রপ করে নিতে হবে। কেননা এগুলো আপনাকে জমা দিতে হবে।

 

উপসংহার

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফি মাত্র ১১৫ টাকা। আপনি নিজেই অনলাইনে আবেদন করে টাকা জমা দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে পারেন। তবে মিটার বসানোর জন্য একজন দক্ষ ইলেকট্রিশিয়ানকে দিয়ে করানো ভালো।