
জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়া ও বিষয়বস্তুকে প্রশ্নবিদ্ধ বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। সংগঠনটি বলেছে, সনদ তৈরির প্রক্রিয়া ছিল অগণতান্ত্রিক ও অংশগ্রহণহীন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য ছিল ‘অন্তঃসারশূন্য, শ্রেষ্ঠত্ববাদী ও আপত্তিজনক’।
গতকাল রবিবার সংগঠনটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই মন্তব্য করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের ‘মহাসমারোহ’ জনসাধারণের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়।
কারণ, শুরু থেকেই সনদ তৈরির প্রক্রিয়া, এর প্রণেতাদের পরিসর ও নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে নানা প্রশ্ন ছিল। সংগঠনটির অভিযোগ, অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার কমিশন ও ঐকমত্য কমিশন গঠন করলেও এসব প্রক্রিয়ায় গণ-অভ্যুত্থানের প্রকৃত অংশীদারদের মতামত ও জনগণের প্রকৃত আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়নি। বিশেষ করে নারী, লিঙ্গ সংখ্যালঘু ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার নিয়ে সনদে কোনো ইতিবাচক উদ্যোগ দেখা যায়নি বলেও উল্লেখ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, সরকার ঐক্যের নামে ভিন্নমত দমনে নেমেছে।
অভ্যুত্থানের অংশীদার শিক্ষার্থীদের অভিপ্রায়কে উপেক্ষা করে, নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ওপর গুরুত্ব দিয়েই সনদ প্রণয়ন করা হয়েছে। সংগঠনটির ভাষায়, সনদ স্বাক্ষরের দিনই এর ফাঁক প্রকাশ পেয়েছে, জুলাই যোদ্ধাদের একটি অংশ বিক্ষুব্ধ হলে পুলিশের হামলার শিকার হয়। এভাবে একটি বিতর্কিত প্রক্রিয়াকে ঐক্যের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করা হলে ভবিষ্যতে নতুন রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হতে পারে।
সংগঠনটি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যেরও তীব্র সমালোচনা করেছে।