প্রাথমিকের নিয়োগপ্রত্যাশীরা যোগদানের নিশ্চয়তা না পেলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা – BanglaNewsBDHub.com |

Featured Image
PC Timer Logo
Main Logo



নিয়োগ পুনর্বহালের দাবিতে অষ্টম দিনের মতো আন্দোলন করছেন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্তরা। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে সুপারিশ পাওয়া তৃতীয় ধাপের ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগের জন্য গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আন্দোলন শুরু করেন সুপারিশপ্রাপ্তরা। এর আগে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীরা নিয়োগ পেয়ে চাকরিতে কর্মরত আছেন।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের সামনে আন্দোলন চলাকালে সন্ধ্যার আগে নিয়োগপ্রত্যাশীরা ঘোষণা দেন বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শহবাগে অবস্থান কর্মসূচি ‘জাস্টিস ফর টিচার’, ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ শুরু হবে। ৬ হাজার ৫৩১ জনের যোগদান নিশ্চিত করতে এই কর্মসূচি দেওয়া হয়।

আন্দোলনকারীরা বলেন, আমরা আমাদের অধিকারের জন্য রাজপথে নেমেছি। বর্তমান সরকারই আমাদের সুপারিশ করেছে নিয়োগের জন্য। তাহলে আমরা কেন নিয়োগবঞ্চিত হবো? আইন মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়েই ফল প্রকাশ করা হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশপ্রাপ্তরা চাকরি করছে। অথচ আমাদের সঙ্গে কেন এ বৈষম্য? আমরা চাই, অনতিবিলম্বে আমাদের যোগদান নিশ্চিত করুক সরকার।’

সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) পুলিশি নির্যাতনের পর মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবের সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীরা বৈঠক করেন। সচিবালয়ে বৈঠকে যান নিয়োগ প্রত্যাশীদের প্রতিনিধি জান্নাতুল নাঈম সুইটি, তালুকদার পিয়াস, নওরীন আক্তার, শামিমা আক্তার, মালা বোস, শাহরিয়ার আজিম। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের নিয়োগের ব্যবস্থা নিতে আদালতে আপিল করা হয়। কাউকে নিয়োগ থেকে বাদ দেওয়া হবে না জানানো হয়। কিন্তু উচ্চ আদালতের আদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

সরকারের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের জানানো হয়, সুপারিশ পাওয়া ৬ হাজার ৫৩১ জনের একজনও বাদ যাবে না। আইনি জটিলতা শেষ করে দ্রুত তাদের যোগদান করানো হবে। কিন্তু চেম্বার জজ আদালত, আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্টে সাতটি শুনানির পর চূড়ান্ত রায়ে ৬ ফেব্রুয়ারি ফল বাতিলের ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার পর ওইদিন থেকেই নিয়োগের সুপারিশ পাওয়া ৬ হাজার ৫৩১ জনের পক্ষে নিয়োগ ও যোগদানের আন্দোলন শুরু হয়।

  • আন্দোলন
  • প্রাথমিক নিয়োগপ্রত্যাশীরা
  • মন্তব্য করুন

    আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।