স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৩০
ঢাকা: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম বলেছেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গণিত ও বিজ্ঞানের ওপর জোর দিতে হবে। গণিত ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন গবেষণায় শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে হবে। তাদের গণিত ও বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে সুযোগ তৈরি করতে হবে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস-২০২৫ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এম আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সমগ্র পৃথিবীজুড়ে এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে হৈ চৈ পড়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উদ্ভাবন ও বহুমাত্রিক প্রয়োগ নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় আগামী দিনে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমাদের বিশ্বিবদ্যালয়গুলোকে এআই’র উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর মৌলিক, তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক গবেষণা করে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে গড়ে তোলা যায়।’
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক শিক্ষার্থীরা বই পড়া থেকে দূরে চলে এসেছে। তারা বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করে অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি ও প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে শিক্ষার্থীরা চ্যাট জিপিটির মাধ্যমে অ্যাসাইমেন্ট তৈরি ও প্রশ্নপত্রের উত্তর প্রদানে খুব বেশি ঝুঁকে পড়েছে। এটা তাদের চিন্তা ও চেতনাকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলছে। তারা জ্ঞানবিজ্ঞানে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বর্তমানে এমফিল ও পিএইচডির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটির ভূমিকা ন্যাক্কারজনক। এসব কারণে আমাদের দেশের উচ্চশিক্ষায় ডিগ্রিধারী বেকারের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের বেশিরভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এবং কয়েকটি উন্নত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো পড়াশুনা হচ্ছে। এইচএসসি পাশ করার পর মেধাবীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়া ও মেধাবীদের কারিগরি শিক্ষা নেওয়া উচিত। কারণ কারিগরি শিক্ষা নিলে দেশে-বিদেশে চাকরির প্রচুর সুযোগ রয়েছে।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী বলেন, ‘অসাধারণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ছাত্রছাত্রীরা চার বছরের অনার্স কোর্সের মধ্যে তিনবছর অনার্স পড়াশুনা এবং একবছর ডিপ্লোমা পড়াশুনা করবে। এক্ষেত্রে তাদের দুটি সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। একটি হলো অনার্স ও অন্যটি ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের কর্মেক্ষেত্র তৈরির জন্য কারিগরি ও পলিটেকনিক শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।’
বাংলানিউজবিডিহাব/জেআর/পিটিএম