
বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে লোকজনকে ভিড়তে দেয়নি পুলিশ; বাধা এসেছে আওয়ামী লীগবিরোধী লোকজনের তরফেও।
বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতে এসে মারধরের শিকার হয়েছেন কেউ কেউ। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে বড় পর্দায় গান-বাজনার সঙ্গে নাচানাচি করেছেন কিছু মানুষ; বেজেছে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ফাঁসির আসামি মেজর ডালিমের ভাষণও।
দুপুরে ঘটনাস্থলে এসে ধানমন্ডি থানার ওসি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের নির্দেশনায় তারা কাজ করছেন। ওসির এ বক্তব্যের পর প্রেসসচিব শফিকুল আলম দাবি করেন, তিনি পুলিশকে কোনো নির্দেশনা দেননি। প্রেসসচিবের বক্তব্য সামনে আসার পর বিকালেই অবশ্য ওসি তার বক্তব্যটি ‘এক্সপাঞ্জ’ করার কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকেই সরগরম হয়ে ওঠে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর। সড়কের দুই প্রবেশমুখ কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে আটকে অবস্থান নেয় পুলিশ। জলকামানসহ সাঁজোয়া যানও ছিল।
দুই কাঁটাতারের ব্যারিকেডের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই স্থানীয় কিছু মানুষ ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসি চেয়ে দফায় দফায় মিছিল করেছেন। এসব লোকজনের ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীকে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার রাতেই সেখানে ট্রাকে করে বড় স্পিকার আনা হয়। ট্রাকে বসানো হয় বড় পর্দা। গান বাজিয়ে নাচানাচিও করেন কিছু মানুষ। রাতে সেই স্পিকার ও মনিটরে গান বাজিয়ে নাচতে দেখা যায় কিছু লোকজনকে।
শুক্রবার সকাল থেকেই ৩২ নম্বরে সাধারণ মানুষের ঢোকা বন্ধ করে দেয় পুলিশ। দিনের বেলায় সেই রাতে এনে রাখা সেই ট্রাকেই বাজানো হয় বঙ্গবন্ধুর খুনি হিসেবে দণ্ডপ্রাপ্ত মেজর ডালিমের ভাষণ। ভাষণের সময় স্ক্রিনে মেজর ডালিমের ছবি ভাসছিল আর লেখা ছিল, ‘মেজর ডালিমের সেই ঐতিহাসিক ভাষণ’।