
ছবি : মির্জা আব্বাস
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়া নিয়ে সমালোচনা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দিচ্ছেন। উনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলেছেন ভালো মানুষের হাতে দিতে হবে। আমরা বুঝি আপনারা কী করছেন। এদেশের মানুষকে বোকা ভাববেন না। স্টারলিংক ছাড়া চলেছি, ওয়াইফাই ছাড়াও চলেছি। দেশ ভালোই ছিল। স্টারলিংক আনছেন কার জন্য? আনছেন আরাকান আর্মির জন্য। করিডর কার জন্য, এখান দিয়ে আরাকান আর্মির মাল-মশলার জন্য। সেন্টমার্টিন কার জন্য, বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। কিন্তু একজন তরুণ বেঁচে থাকলেও দেশের ভৌগলিক অখণ্ডতা বিঘ্নিত হতে দেব না।
বুধবার (২৮ মে) নয়াপল্টনে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে মির্জা আব্বাস বলেন, গণমানুষের আকাঙ্ক্ষিত, আস্থার একটি প্রতীক ছিল সরকার (অন্তর্বর্তী সরকার)। কিন্তু ৯ মাসের কার্যক্রমে আমরা কিছু পাইনি। শুধু পেয়েছি অবজ্ঞা।এ দেশের মানুষকে সরকার অবজ্ঞা করছে। এই সরকারের মধ্যে যারা আছে, আমি বলি এই সরকার ঔপনিবেশিক সরকার। এই সরকারের মধ্যে যারা আছে অর্থাৎ ৯০ ভাগই এদেশের নাগরিক নয়।
তিনি বলেন, আন্দোলন করলো ছাত্র-জনতা আর ওনারা ঘাড়ে চেপে বসেছেন। আমাদের ঘাড়ে চেপে বসেছে। ওনারা বললেন সংস্কার করে নির্বাচন দেবেন। এই ৯ মাসে যা পারেননি, ৯ বছরেও পারবেন না; ৯০ বছরেও পারবেন না!
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, এই দেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে একটা ব্যবস্থা করেন। কী ব্যবস্থা করবেন সেটা আপনারা ভালো জানেন।
তিনি বলেন, আমি একটা মিটিংয়ে প্রশ্ন করেছিলাম সেন্টমার্টিন, সাজেকে কী হচ্ছে- এটা একটু সরকার আমাদের কাছে স্পষ্ট করুক। আজও সরকার স্পষ্ট করেনি। আজকে করিডর নিয়ে কথা হচ্ছে। করিডরে লাভ কী, লস কী- সেটা দেখার দরকার নেই। আমরা যেমন ছিলাম তেমন থাকতে চাই। এরচেয়ে বেশি কিছু আমাদের দাবি নেই। করিডরের কোনো প্রশ্নই আসে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ওদের কাজকর্ম-কথাবার্তায় দেশপ্রেমিক মানুষের মনে ভীতির সঞ্চার হয়। আমরা যখন নির্বাচনের কথা বলি তখন তারা সংস্কারের কথা বলে। আমরা কাজের কথা বললে, তারা অপকর্মের কথা বলে। আপনারা কোনো কাজ শেষ করতে পারবেন না।