বন্যায় আউশ ও আমনে ক্ষতি ১৩ লাখ মেট্রিক টন, মজুদ ঘাটতি ২৪%

Featured Image
PC Timer Logo
Main Logo

বন্যায় আউশ ধানের উৎপাদনে ক্ষতি – ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দুই দফা বন্যায় আউশ ও আমন মৌসুমে ফসলের উৎপাদন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় উৎপাদন কম হয়েছে ১৩ লাখ মেট্রিক টনের বেশি। এর মধ্যে আউশের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৯ লাখ ৫৫ হাজার মেট্রিক টন এবং আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩ লাখ ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কম হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে সরকারি অভ্যন্তরীণ মজুদ ও সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে চলতি অর্থবছরে আরও ৯ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য আমদানি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নিম্ন আয়ের মানুষদের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে খাদ্যশস্য বিক্রি অব্যাহত রাখতে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এ খাতে ৮ হাজার ৫৯ কোটি টাকা ভর্তুকি হিসেবে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। মূলত: ওএমএস’ টিসিবি ও খাদ্য বান্ধব কমসূচি সারা বছর চলমান রাখার লক্ষ্যে বর্ধিত হারে এ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

সূত্র জানায়, বর্তমানে সরকারি পর্যায়ে খাদ্যশস্যের মোট কার্যকরী মজুদের সক্ষমতা হচ্ছে ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৫৩৮ মেট্রিক টন। এর বিপরীতে প্রায় ১৩ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। এটি এর আগের অর্থবছরের (২০২৩-২৪) তুলনায় প্রায় এক-চতুর্থাংশ (২৩.৬%) কম।

এদিকে সার্বিকভাবে দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষি উৎপাদন বাড়ানো এবং কৃষি উৎপাদন বাড়াতে প্রকৃত চাষীদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে অর্থ বিভাগ

অর্থ বিভাগ বলেছে, মাঠ পর্যায়ে উৎপাদিত পণ্য সরাসরি ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেওয়ার কার্যকর পদ্ধতি দ্রুত খুঁজে বের করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে অন-লাইনভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিংবা অন্যান্য উপায়ে যেসব ব্যবসা সফলভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেগুলোর অনুসরণে চাষীদের জন্যও একটি ব্যবসা মডেল তৈরির বিষয়টি বিবেচনা করা দরকার।

এছাড়া কৃষি ও খাদ্য দ্রব্যের মজুদ/সংরক্ষণের সক্ষমতা বাড়াতে গুদাম/হিমাগারের সংখ্যাও বাড়াতে হবে।

সরবরাহ নিশ্চিত করার বিষয়ে অর্থ বিভাগ বলেছে, চাল-ডাল-তেল-আলু ইত্যাদি নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের বার্ষিক চাহিদার সঙ্গে বর্তমান মজুদের তুলনাভিত্তিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে মধ্যমেয়াদি চাহিদার প্রক্ষেপণ এবং এসব পণ্য সরবরাহের একটি রূপরেখা তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি চাল-আলু-পেঁয়াজসহ ‍কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রে উৎপাদন পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সাময়িক ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক শুল্ক হ্রাস/অব্যাহতির উদ্যোগ নিতে হবে।

খাদ্যদ্রব্যের পাশাপাশি সার ও কৃষি উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য উপকরণ সরবরাহেও একটি রূপরেখা প্রণয়নের উপর গুরুত্বারোপ করে অর্থ বিভাগ বলেছে, সারের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ভর্তুকি প্রদান অব্যাহত রয়েছে। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এ খাতে ২৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

বাংলানিউজবিডিহাব/আরএস

কৃষকের ন্যায্যমূল্য
কৃষি উৎপাদন ও মজুদ
খাদ্য নিরাপত্তা
সরবরাহ ব্যবস্থা

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।