![](https://jathasomoy.com/wp-content/uploads/2024/09/bu-2024338.jpg)
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) সকল বিভাগের একাডেমিক অগ্রগতি জানতে চেয়ারম্যানদের সাথে একটি সভার আহ্বান করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানি। তবে উপ-উপাচার্যরে নোটিশকে বিধিবহির্ভূত উল্লেখ করে সকল বিভাগের চেয়ারম্যানদের সাড়া না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পাল্টা আরেকটি নোটিশ জারি করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শূচিতা শরমিন। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জারিকৃত দুটি নোটিশ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী’র জারিকৃত নোটিশে দেখা যায়, আগামী ০৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল ১১ টায় উপ-উপাচার্যের অফিসে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক অগ্রগতি নিয়ে একটি সভা আহবান করা হয়েছে। সেখানে সকল বিভাগের চেয়ারম্যানদের উপস্থিত থাকার জন্য বিনীত অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম সাক্ষরিত পাল্টা নোটিশে সকল বিভাগের চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে করে আরেকটি নোটিশ জারি করা হয়। যেখানে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ের আলোকে আপনারা অবগত আছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক নির্বাহী কর্মকর্তা হলেন মাননীয় উপাচার্য। তাঁর নির্দেশ ও অনুমোদন ছাড়া অন্য কোনো পত্র কোনো দপ্তরপ্রধান, কর্মকর্তা বা অন্য কেউ শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীর উদ্দেশ্যে প্রেরণ করতে পারেন না। যদি কেউ এরকম পত্র প্রেরণ করেন সেটি বিধি বহির্ভূত। সঙ্গত কারণে মাননীয় উপ-উপাচার্যের নির্দেশক্রমে প্রেরিত পত্রটি নিয়ম বহির্ভূত। উক্ত পত্রটি কোনোভাবেই কোনো শিক্ষককে আমলে না নেয়ার জন্য মাননীয় উপাচার্যের নিদের্শক্রমে অনুরোধ করা হলো।
পাল্টা নোটিশের বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম বলেন, উপাচার্যের নির্দেশক্রমে আমি চিঠি দিয়েছি। মাননীয় উপাচার্য যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন সেভাবেই আমি চিঠি দিয়েছি। আমি উপাচার্যের সচিব। উপাচার্যের আদেশ নির্দেশ শোনাই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার কাজ।
জানতে চাইলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানী বলেন, আমাকে সরকার নিয়োগ দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী একাডেমিক দায়িত্ব আমার। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে সুস্পষ্টভাবে তা বলা আছে। আমি একাডেমিক অগ্রগতি জানতে চেয়ারম্যানদের সাথে কি বসতে পারি না? এটা বিধিবহির্ভূত হয় কিভাবে? বরং আমাকে একাডেমিক দায়িত্ব গত তিনমাসেও বুঝিয়ে না দিয়ে সে আইনভঙ্গ করেছে।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শূচিতা শরমিনের সাথে মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।