বাংলাদেশের পাঞ্জাবি পরা ছেলেকেই বিয়ে করতে চান রাশিয়ান মডেল মনিকা

Featured Image
PC Timer Logo
Main Logo

ভাষা, পোশাক আর সংস্কৃতি— এসবই মনিকা কবিরের জীবনের রঙিন ক্যানভাসে একসাথে আঁকা গল্পের মতো। জন্ম রাশিয়ার মস্কোতে, বাবা ভারতীয়, মা রাশিয়ান। তবুও বাংলা ভাষা তার মুখে এমন সহজ আর সাবলীল যে, অনেকেই তাকে বাংলাদেশি ভেবে ভুল করেন।

মনিকার গল্পের শুরু শৈশবেই। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে প্রথম বাংলাদেশে আসা। বাবার ব্যবসার কারণে কিছুদিন এখানে থাকা, তারপর আবার মায়ের কাছে রাশিয়ায় ফেরা। কিন্তু বাংলা তখন তার মনে গেঁথে গেছে, যেন শৈশবের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলা ভাষার পাশাপাশি বাবার সূত্রে হিন্দি, আর ভ্রমণপিপাসু জীবনযাপনের কারণে ইংরেজি, পোলিশ, তুর্কি, আজারবাইজানি— এমন নানা ভাষায় দক্ষ হয়ে ওঠা।

মনিকার পোশাকেও লুকিয়ে আছে সংস্কৃতির গল্প। তিনি শাড়ি পরেন, পাঞ্জাবি পরা ছেলেদের প্রতি আলাদা দুর্বলতা আছে। তাই বিয়ের প্রসঙ্গ উঠলেই মৃদু হেসে বলেন— ‘হয়তো বাংলাদেশ… কারণ পাঞ্জাবি পরা ছেলেদের আমার খুব ভালো লাগে। তবে যাকেই বিয়ে করি না কেন, বাংলাদেশ, ভারত আর রাশিয়ার পোশাক পরে বিয়ে করার ইচ্ছে আছে।’

তবে মনিকার কাছে বিয়ে কোনো দেশ বা জাতির সীমানায় বাঁধা নয়। তার চোখে মানুষকে মাপা হয় মন দিয়ে— ‘সব বাংলাদেশির মন ভালো নয়, সব ভারতীয় বা রাশিয়ানদের মনও ভালো নয়। যার মন সবচেয়ে ভালো হবে, তাকেই বিয়ে করবো।’

মডেলিংয়ের পাশাপাশি লাতিন নাচে পারদর্শী এই রুশ তরুণী ছোটবেলা থেকেই বাবার ব্যবসার সূত্রে নানা দেশে ঘুরেছেন। তাই তার জীবন এক অর্থে বিশ্বসংস্কৃতির মিলনমেলা। কিন্তু এতকিছুর মাঝেও বাংলার প্রতি তার টান অটুট— যেন দূরের একটি প্রিয় ঠিকানা, যা সবসময় মনে করিয়ে দেয়, মন ভালো থাকলে ভাষা আর সংস্কৃতি যে কোনো দূরত্ব পেরিয়ে হৃদয় ছুঁতে পারে।

মনিকা কবির— অথবা তার রুশ নাম মারিয়া ভ্যালিরিয়েভনা, ডাকনাম মনিশকা— আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েও আসলে খুব সাধারণভাবে নিজের ভালোবাসা, সংস্কৃতি আর জীবনের গল্প শেয়ার করেন। তার গল্প প্রমাণ করে, ভাষা আর মনের যোগ কখনো পাসপোর্ট দেখে গড়ে ওঠে না।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।