বৈষম্য কোটা দূর হয়েছে, এখন বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে বৈষম্য কি দূর হবে?
নিরাপত্তা অনুভব করতে হলে দেশকে দেশের মানুষকে মন থেকে ভালোবাসতে হবে, তবেই সকলেই নিরাপদ বোধ করবে।
কারণ বাংলাদেশ আমাদের সকলের দেশ। বৈষম্য তৈরি করে দেশের মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা ঠিক নয়। বর্তমানে দেশের কিছু মানুষ অনিরাপদ বোধ করছে, কারন তারা অন্য ধর্ম বা দলের অনুসারি। আরো বড় কারন হলো তারা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করে অনিরাপদ বোধ করছে।
যদিও তারা কোনো অপরাধ করেনি, শুধু তাদের সমস্যা হলো তারা অন্য কোনো দলের অনুসারি। আমাদের দেশে বসবাসরত সকল মানুষের দেশ। কেন এখনো আমাদের দেশের কিছু মানুষ বৈষম্য সৃষ্টি করছে?
“বৈষম্য একটি মানবিক ভুল, এটি মানুষের মর্যাদা ও স্বাধীনতার প্রতি হুমকি।” [নেলসন ম্যান্ডেলা]
“আমরা যখন অন্যের ক্ষতি করি, তখন নিজেদের ক্ষতি করি। পাপের প্রকৃতি এমনই।”[টলস্টয়]
যখন একজন ব্যক্তি দেশকে মন থেকে ভালোবাসবে, তখন সে দেশে কোনো বৈষম্য আনতে চাইবে না। কারন সে জানে বৈষম্য মানে দেশে মারামারি, নির্বিচারে হত্যা, ধ্বংস, ইত্যাদি।
বাংলাদেশের মানুষের বৈষম্য এমনঃ
বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে, ক্ষমতার কারণে। যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে। যেমনটি হাসিনা ও তার দল গুলো করেছিল।
উদাহরণস্বরূপঃ
তারা জামায়াত বা শিবির করে তারা জঙ্গি। জঙ্গি দমন করতে হবে। তারা বিএনপি করে তারা সন্ত্রসী। এ কি ধরনের দেশ প্রেমীক নেতারা? সে জামায়াত করলেই সে জঙ্গি। কোনো অপরাধ করে নি, তবুও সে জঙ্গি? সরকারের বিরোধীতা করলেই সে জঙ্গি?
যে দেশে ৯১.০৪% মানুষ মুসলমান। ৯১.০৪% মানুষ মুসলমান জঙ্গি?????????
👇👇👇
“আমরা যখন অন্যের ক্ষতি করি, তখন নিজেদের ক্ষতি করি। পাপের প্রকৃতি এমনই।”
এতে দেখা গেছে ক্ষমতাই থাকা কয়েকটি দেশদ্রোহীদের কারনে দেশের সকল মানুষের মধ্যে বৈষম্য তৈরি হয়। আমাদের দেখতে হবে কোনো সরকার পার্সোনাল মিশনে এসেছে কি না। দেশের সকল মানুষকে এদেরকে সাথে সাথে দমন করতে হবে।
সরকার এর পার্সোনাল মিশনঃ
উদাহরণস্বরূপঃ পূর্বের সরকারের পার্সোনাল মিশন ছিল তার বাবার হত্যার বিচার করা। তাদের বিচার করতে গিয়ে দেশের মানুষের সাথে বৈষম্য , বিরোধিতা বা ক্ষোভ সৃষ্টি হোক এতে সমস্যা নেই।
“আমরা যখন অন্যের ক্ষতি করি, তখন নিজেদের ক্ষতি করি। পাপের প্রকৃতি এমনই।”
বিরোধিতা বা বৈষম্য সৃষ্টি না করে, বাংলাদেশের সকল মানুষের সাথে কিভাবে একতা বদ্ধ সৃষ্টি করা যায় অতীতের কথাগুলো ভুলে এটা কোথায় ছিল?
ডক্টর জাকির নায়েকের একটি কথা;
আসুন আমরা খারাপটি বাদ দিয়ে ভালো টিকে বেছে নিই, যেন আমাদের মধ্যে বৈষম্য বা বিরোধিতা সৃষ্টি না হয়।
তাহলে আমাদের কি করা উচিত?
এই পচা, জং ধরা সিস্টেম বা পদ্ধতিকে এমন ভাবে পরিবর্তন করতে হবে যেন কোন দল ক্ষমতার অপব্যবহার না করে। ক্ষমতা দিয়ে মানুষের মধ্যে বৈষম্য বা বিরোধিতা সৃষ্টি না করে।
প্রতি পাঁচ বছর পর পর নির্বাচন হবে, এবং পরপর একজন ব্যক্তি ২বারের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারবে না, তৃতীয় বারে ক্ষমতায় আসতে পারবে না, প্রধান মত্রীসহ তাদের মত্রী সভায় সবাই। এতে মানুষের মধ্যে বৈষম্য দূর হবে। বাংলাদেশের সকল মানুষ রেন্ডমলি তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে। তৃতীয় বারে নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে হলে তাকে অপেক্ষা করতে হবে। ক্ষমতায় আসতে হলে, তাকে অপেক্ষা করতে হবে।
যদি কোনো সরকারের সময় দূর্নীতি হয় তাহলে, দূর্নীতির পরিমান অনুযায়ী সাজা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশের সকল মানুষের কাজ হবে ভোটের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে তাদের নেতাকে বা নেত্রীদের নির্বাচন করা। আর নেতা বা নেত্রীদের কাজ হবে দেশ বৈষম্য বা বিরোধিতা ছাড়া দেশের মানুষকে কিভাবে আরো উন্নত করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করা।
কোন ব্যক্তিগত পার্সোনাল মিশন নয়। প্রতিবছর সকল জনগণের কাছে দেশের পরিস্থিতি কতটা অগ্রগতি হয়েছে তা তুলে ধরা। দেশের মানুষের কাছে সাহায্য চাওয়া, আরো কিভাবে দেশকে উন্নত করা যায়। সরকারকে কখনো বৈষম্য সৃষ্টি করা যাবে না মানুষের মধ্যে। “ভুলে যাবে না, যে জনগণ সকল শক্তির উৎস।“
Algorithm এর ভাষায়; ধরে নিলামঃ সকল সিস্টেম এর আপডেট ভার্শন 2.0
স্বাধীন বাংলাদেশে; মানুষ কখনো অনিরাপত্তা অনুভব করবে না, যদি ব্যক্তিগত স্বাধীনতা থাকে। তখন সকলের অধিকার রয়েছে অন্যায়ের বিরোধিতা করার।
যখন মানুষের মনে বৈষম্য আসবে, তখন মানুষের মধ্যে বিভাজন বা বিরোধিতা সৃষ্টি হবে। তাই আমাদের সকলের উচিত বৈষম্য দূর করা।
আমাদেরকে দেশকে ভালোবাসতে হবে; কোনো দল বা সত্তার জন্য নয়।
[ রনি মিয়া ]