বাজেটে ব্যবসার প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হতে পারে : এফআইসিসিআই – BanglaNewsBDHub.com |

Featured Image
PC Timer Logo
Main Logo



প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটকে কেন্দ্র করে ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিবেশে শঙ্কা প্রকাশ করেছে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই)। সংগঠনটি মনে করছে, বাজেটের কিছু বিধান দেশের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং সৎ করদাতাদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে। আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় সংগঠনটি এই উদ্বেগ জানায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, এফআইসিসিআই অর্থ অধ্যাদেশ, ২০২৫ খতিয়ে দেখেছে এবং বাজেটের কিছু ইতিবাচক দিককে স্বাগত জানিয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ খাতে কর চাপ হ্রাস এবং পূর্বানুমেয় করকাঠামো গঠন, যা ব্যবসায়ের জন্য ইতিবাচক সংকেত। নির্মাণ খাত ও প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের ওপর উৎসে কর হ্রাস ব্যবসায়িক পরিবেশে স্বস্তি নিয়ে আসবে। এ ছাড়া যৌথ উদ্যোগ (জেভি) থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ জেভি অংশীদারের করযোগ্য আয় হিসেবে গণ্য না করায় দ্বৈত করের ঝুঁকি কমানো সম্ভব হবে, যা আন্তর্জাতিক উত্তম অনুশীলনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।

তবে বাজেটে কিছু বিতর্কিত ও উদ্বেগজনক দিকও রয়েছে; বিশেষ করে যেসব তালিকাভুক্ত কোম্পানির ১০ শতাংশের কম শেয়ার আইপিওর মাধ্যমে ইস্যু হয়েছে, তাদের জন্য অতিরিক্ত ৭.৫ শতাংশ কর ধার্য করাকে বৈষম্যমূলক ও ব্যবসায় নেতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এ ছাড়া ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে লেনদেন করা কোম্পানিগুলোর পূর্ববর্তী কর রেয়াত প্রত্যাহার করাও দুঃখজনক। কারণ, এটি দেশের ক্যাশলেস অর্থনীতি গঠনের লক্ষ্যকে ব্যাহত করবে এবং ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার মতো প্রতিযোগী অর্থনীতির সঙ্গে তুলনায় পিছিয়ে রাখবে।

বাণিজ্যিক আমদানিকারকদের জন্য ৭.৫ শতাংশ অগ্রিম কর আরোপ করা হয়েছে, যেখানে স্থানীয় মান সংযোজন ৫০ শতাংশের কম হলে অতিরিক্ত ভ্যাট আরোপিত হবে না। এটি নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া সহজ করবে এবং রিফান্ড দাবি কমাবে, তবে কিছু ক্ষেত্রে খরচ বাড়তে পারে। রেয়াত ও রিফান্ড পাওয়ার সময়সীমা চার মাস থেকে ছয় মাস করা হয়েছে, যা মূলধনের ঘাটতিতে থাকা ব্যবসায় কিছু স্বস্তি দেবে।

  • এফআইসিসিআই
  • বাজেট
  • মন্তব্য করুন

    আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।