বিদায়ী বছরে বাণিজ্য ঘাটতি ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার – BanglaNewsBDHub.com |

Featured Image
PC Timer Logo
Main Logo



বিদায়ী অর্থবছর পণ্য আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার ১১৪ কোটি ডলার। অন্যদিকে, এ সময় প্রায় ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে রপ্তানি আয় এসেছে ৪ হাজার ৮২৮ কোটি ডলারের বেশি। এতে বাণিজ্য ঘাটতি কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছে সরকার। এতে ব্যবসায়ীদের আস্থা ফিরে আসবে বলেও আশা করেন কর্মকর্তারা।

কোটা আন্দোলন, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতন, সব মিলিয়ে গত অর্থবছরের শুরুতেই হোঁচট খায় ব্যবসা-বাণিজ্য। দাবি আদায়ে শ্রম অসন্তোষ, গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট, উচ্চ সুদ হার ও মূল্যস্ফীতির কারণে সংকট আরো বেড়ে যায়। সবশেষ এনবিআরের আন্দোলনে টানা দুই দিন বন্ধ ছিল পণ্য আমদানি-রপ্তানি।

এতো অস্থিরতার মধ্যেও সদ্য বিদায়ী অর্থবছর রপ্তানি আয়ে ৯ ভাগ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। যদিও জুনে ঈদের কারণে কারখানাগুলোতে দীর্ঘ ছুটি এবং মাসের শেষে দুই দিন বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় রপ্তানি আয় ৬ শতাংশের বেশি কমেছে। অন্যদিকে, গত অর্থবছর আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা হয়েছে ৭ হাজার ১১৪ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে অনেকটাই স্থিতিশীল রয়েছে বাণিজ্য পরিস্থিতি।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বেড়েছে। ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ায় ব্যবসায়ীরাও বিনিয়োগে আগ্রহী হবে। এখন বিনিয়োগের পরিবেশ ব্যবসায়ীদের জন্য ইতিবাচক বলেও মনে করেন এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘এই অর্থবছরে আমাদের ৭১ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলারের আমদানি বিল পরিশোধ করা হয়েছে। এটা কিন্তু আমাদের অর্থনীতির বড় সক্ষমতার ধারক। আমরা রিজার্ভ যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে সক্ষম হচ্ছি। আবার সরকারের যেগুলো মেগা প্রকল্পের কিস্তি ছিল সেগুলো ব্যাংক পরিশোধ করছে। রাষ্ট্র থেকে যেগুলো ঋণ সেগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক পরিশোধ করছে।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি বাড়াতে হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে নির্বাচনকেন্দ্রিক অনিশ্চয়তা দ্রুত সমাধানের তাগিদ তাদের।

  • বাণিজ্য ঘাটতি
  • বিদায়ী বছর
  • মন্তব্য করুন

    আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।