
প্রতীকী ছবি
ঢাকার সাভারে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সাভার থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী। তবে আজ শনিবার পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবিতে ভুক্তভোগীর সহপাঠীরা বিক্ষোভ করেছেন।
ভুক্তভোগী তরুণী বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ছাত্রী। তাঁর পরিবার সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের একটি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকে।
মামলার আসামিরা হলেন সাভারের সোহেল রোজারিও, বিপ্লব রোজারিও ও মিঠু বিশ্বাস। তাদের মধ্যে সোহেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং বিপ্লব ও মিঠুর বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই তরুণী সাভারে এক ছাত্রকে প্রাইভেট পড়ানোর পর বাসায় ফেরেন। কিন্তু বাসা তালাবদ্ধ। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তাঁর মা বাসায় তালা দিয়ে পাশের এক চা দোকানির কাছে চাবি রেখে গেছেন। পরে তিনি দোকান থেকে চাবি নিয়ে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন। ফেরার পথে সোহেল তাঁকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিছুদূর যাওয়ার পর সোহেলের সঙ্গে অন্য দুই আসামির দেখা হয়। এরপর তারা ওই তরুণীকে অনুসরণ করতে থাকেন এবং বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর করে নিজের বাসায় নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন সোহেল। এতে সহযোগিতা করেন অন্য দুই আসামি। ধর্ষণের পর সোহেল ঘটনা কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেন।
ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিরুলিয়া ওলামা ও ইমাম পরিষদের ব্যানারে কমলাপুর বাজারে প্রতিবাদ সমাবেশ এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন এলাকাবাসী। পরদিন বিরুলিয়ার খাগান এলাকায় সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন।
শনিবার রাজধানীর মিরপুর-১২ নম্বরে বিক্ষোভ করেন ভুক্তভোগীর সহপাঠীরা। তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে আজ রোববারও মিরপুর-১২ নম্বরে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
সাভার মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা জানান, ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।