বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তামিমের সঙ্গে তার পুরো প্যানেলই নির্বাচন বর্জন করেছে।
আজ বুধবার (১ অক্টোবর) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তামিম। গতকাল রাত থেকেই তামিমের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের বিষয়ে আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। আজ সকালে সেটা নিশ্চিত হয়ে গেল।
বুধবার সকালে মনোনয়পত্র প্রত্যাহার করতে বিসিবিতে আসেন তামিম। তার সঙ্গে রফিকুল ইসলাম বাবু, মাসুদুজ্জামান, ইব্রাহিম আহমেদ, মীর হেলাল, সৈয়দ বোরহান হোসেন পাপ্পু ও ইসরাফিল খসরুকে এক সঙ্গে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার রাতেই নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে তামিম ইকবালের প্যানেল।
তামিম ইকবাল প্যানেলের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারকারীদের একজন ইসরাফিল খসরু গণমাধ্যমকে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের কারণ হিসেবে বলেন, ‘বিসিবি নির্বাচনে নগ্ন হস্তক্ষেপ চলছে। নির্বাচনের কোনো পরিবেশ এখানে নেই। স্বেচ্ছাচারিতা করা হচ্ছে। নতুন বাংলাদেশে এই ধরনের কোনো নির্বাচন আমরা চাই না।’
‘সরকারের একটি গোষ্ঠী এখানে হস্তক্ষেপ করছে। আপাতত এটুকুই বলতে পারি। শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত বলব আমরা।’
বিসিবির সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিসিবি নির্বাচনে ১৫টি ক্লাবের অন্তর্ভুক্তির বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ জারা করা হয়ে। এই ১৫ ক্লাবের ভোট তামিম ইকবালের প্যানেলে যেত বলে ধারনা করা হয়।
এর আগে জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাগুলোর কাউন্সিলর নির্ধারনে বিসিবি সভাপতির চিঠি প্রদাণ নিয়েও নানান প্রশ্ন উঠেছিল। তামিম ইকবালের প্যানেল থেকে সেখানেও সরকারের একটা পক্ষের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলা হয়েছে।