ব্যষ্টিক অর্থনীতি কাকে বলে: অর্থনীতির যে শাখাটি একজন স্বতন্ত্র ভোক্তা, ফার্ম বা পরিবারের আচরণ অধ্যয়ন করে তাকে মাইক্রোইকোনমিক্স বা ব্যষ্টিক অর্থনীতি বলা হয়।

ব্যষ্টিক অর্থনীতি কাকে বলে?

উত্তরঃ অর্থনীতির যে শাখায় ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানকে পৃথকভাবে নিয়ে কাজ করা হয় তাকে সামষ্টিক অর্থনীতি বলে।

ব্যষ্টিক অর্থনীতি বলতে কি বুঝায়?

‘ব্যক্তি’ থেকে ‘ব্যস্টিক’ শব্দটি এসেছে। অর্থনীতিতে ব্যক্তি বলতে ‘ব্যক্তি মানুষ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান’-কে বুঝানো হয়।

ক্ষুদ্র এর ইংরেজি অর্থ হল মাইক্রো । এখানে মাইক্রো বলতে ক্ষুদ্র  ক্ষুদ্র একক অর্থে  ‘ব্যক্তি মানুষ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান’-কে বুঝানো হয়।

অর্থনীতিতে ‘ব্যক্তি মানুষ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান’-এর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করাই ব্যষ্টিক অর্থনীতি বা Microeconomics এর কাজ।

অর্থাৎ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে কিভাবে অংশ গ্রহণ করে বা সিদ্ধান্ত নেয় Macroeconomics তাই নিয়ে আলোচনা করে।

ব্যষ্টিক অর্থনীতির সংজ্ঞাঃ                          

ব্যষ্টিক অর্থনীতি  (Microeconomics) অর্থনীতির একটি মৌল শাখা যাতে ব্যক্তি এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ভোগ ও উপযোগ, উৎপাদন, মূল্য, মুনাফা ইত্যাদির নিয়ামক নিয়ে আলোচনা করা হয়।

বাজার অর্থনীতিতে বাজারে পণ্যের ও সেবার বিনিময় ঘটে। পণ্য ও সেবা থেকে ব্যক্তি বা ভোক্তা উপযোগ লাভ করে।

বাজরে পণ্য ও সেবা বিনিময়ের প্রধান দুটি নিয়ামক হলো ব্যক্তির (বা পরিবারের) পণ্য বা সেবার চাহিদা ও উৎপাদক কর্তৃক পণ্যের ও সেবার যোগান।

কোন নিয়ামক (মূল্য বা আয় ইত্যাদি) কিভাবে ভোগ তথা চাহিদার পরিমাণ নিরূপণ করে এবং উৎপাদকের ক্ষেত্রে কোন কোন নিয়ামক (উৎপাদন ব্যয়, সরকারী কর, বাজারের শ্রেণী বা প্রকৃতি) কিভাবে পণ্য বা সেবার উৎপাদন, মূল্য, বিক্রয় ও মুনাফার পরিমাণ নিরূপণ করে এ সবই ব্যষ্টিক অর্থনীতির আলোচ্য বিষয়।

আমি যেটা বুঝি তা হল ব্যক্তি বা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান অর্থনীতিতে কিভাবে সিদ্ধান্ত নেয় এবং কোন কোন নিয়ামক  কিভাবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে তার আলোচনাই Microeconomics.

আমাদের শেষ কথাঃ আশা করি এই প্রবন্ধের মূল বিষয়টি বুঝতে আর বেশি শব্দের প্রয়োজন নেই। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি এই প্রবন্ধের মূল বিষয়টি তুলে ধরতে। আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইটের আরো অন্যান্য তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।