সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ২০৫ রান তুলেও বাংলাদেশ হারলে সেটাকে মনে করা হচ্ছিল দূর্ঘটনা! তাহলে আজ যা ঘটল আরও বড় ঘটনা! ব্যাটিং সহায়ক উইকেট, বাউন্ডারি ছোট। এমন পিচেও আরব আমিরাতের মতো দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ কিনা ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ৭১ রানে। সেখান থেকে শেষ পর্যন্ত ১৬২ রানে থেমেছে বাংলাদেশ।
টসে হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো বাংলাদেশ ৪৭ রানে হারায় চতুর্থ উইকেট। ৭১ রানে সপ্তম উইকেট হারালে দলীয় শতক পেরোনো নিয়েই শঙ্কা জেগেছিল। শেষদিকে জাকির আলি অনিকের বুক চিতিয়ে ৪১ রানের ইনিংসে মাঝারি একটা স্কোর পেয়েছে বাংলাদেশ।
বুধবার (২১ মে) সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় টস জিতে বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানায় স্বাগতিকরা। তানজিদ হাসান তামিম একপ্রান্ত থেকে বেশ ভালো ব্যাটিং করছিলেন। কিন্তু অপর প্রান্ত থেকে টপাটপ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। আরব আমিরাতের বোলারদের বোলিং খুব আহামরি ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশি ব্যাটাররা একের পর এক বাজে শটে উইকেট ছুড়ে দিয়ে এসেছেন।
পারভেজ হোসেন ইমনের পর তাওহিদ হৃদয়, শেখ মাহেদিও দুই অঙ্কের কোটা ছোয়ার আগেই ফিরলে ৩১ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক লিটন দাস আজ ১০ বলে ১৪ রান করে আউট। দারুণ খেলতে থাকা তানজিম হাসান তামিম ১৮ বলে ৪টি করে চার-ছয়ে ৪০ রান করে যখন ফিরলেন ৫৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
বিপদে পড়া বাংলাদেশের হয়ে হাল ধরতে পারেননি শামীম হোসেন পাটোয়ারী (৯) ও রিশাদ হোসেনও (০)। তবে জাকির আলী অনিক একপ্রান্ত আগলে রেখে ক্রিজে পরে থাকতে চেয়েছেন। শেষের ব্যাটারদের নিয়ে দলকে অনেকটা টেনেছেন জাকের। দলের নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৩৪ বল খেলে ১ চার, তিন ছয়ে ৪১ রান করেন।
এরপর শেষ উইকেটে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ। হাসান মাত্র ১৫ বল খেলে ৩ চারে ২৬ রান করেন। ৭ বলে ১৫ রান করেছেন শরিফুল। ২০ ওভারে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রানে থেমেছে বাংলাদেশ।