ভারতকে বাদ দিয়ে পাকিস্তান থেকে এলো চিটাগুড়, কেজিতে কম ৪ টাকা

Featured Image
PC Timer Logo
Main Logo

এম,টি ডলফিন-১৯ জাহাজটি পাকিস্তানের করাচী বন্দর থেকে এসেছে

বাগেরহাট: ভারত ৫০ শতাংশ রফতানি শুল্ক বৃদ্ধি করায় বিকল্প ও সহজলভ্য হিসেবে পাকিস্তান থেকে মোংলা বন্দর দিয়ে প্রথমবার চারণকারী প্রাণীদের শক্তির উপকরণ চিটাগুড় আমদানি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের ৮নম্বর জেটিতে এর প্রথম চালান নিয়ে ভিড়েছে পানামা পতাকাবাহী জাহাজ এম,টি ডলফিন-১৯। জাহাজটি পাকিস্তানের করাচী বন্দর থেকে পাঁচ হাজার ৫০০ মেট্টিক টন চিটাগুড় নিয়ে আসে। এদিন দুপুর থেকে ওই জাহাজটি হতে এ চিটাগুড় খালাস শুরু হয়েছে।এই চিটাগুড় চালান আমদানি হওয়ায় এই পণ্যেটি কেজিতে ৪ টাকা করে কম কিনতে পারবে গ্রহকরা।

আমদানিকারক পি অ্যান্ড পি ট্রেনিং এর মালিক আনোয়ারুল হক বলেন, ‘ভারত ৫০ শতাংশ রফতানি শুল্ক বৃদ্ধি করায় বিকল্প ও সহজলভ্য হিসেবে পাকিস্তান থেকে চিটাগুড় আমদানি করা হয়েছে। অল্প সময়ের ও অল্প খরচে এই পণ্যেটি এসেছে। ভারত খামখেয়ালি ভাবে শুল্ক বৃদ্ধি করায় এই পশু খাবারের দাম দেশের বাজারে বেড়ে যায়। এখন আমরা ৪ টাকা কম দামে এই পণ্যেটি বিক্রি করতে পারব।’

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মো. মাকরুজ্জামান জানান, গত ২২ জানুয়ারি পাকিস্তানের করাচী বন্দর থেকে চিটাগুড় পণ্য নিয়ে জাহাজটি ছেড়ে আসে। এরপর সকালে এই বন্দর দিয়ে চিটাগুড় খালাস করে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘পদ্মা ফিড অ্যান্ড চিকস লিমিটেড কোম্পানি’। খালাস হওয়া এ চিটাগুড় মোংলা থেকে সড়ক ও নৌপথের মাধ্যমে নেওয়া হবে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ীতে। সেখান থেকে তা দেশের বিভিন্ন ফিড কোম্পানিতে সরবরাহ করা হবে।

এদিকে পাকিস্তান থেকে প্রথমবারের মতো চিটাগুড় আমদানি হওয়ায় বিদেশি জাহাজটির ক্যাপ্টেন, নাবিক, আমদানিকারক ও শিপিং এজেন্ট প্রতিনিধিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোংলা কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর শফিকুল ইসলাম সরকারসহ অন্যান্যরা।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মো. মাকরুজ্জামান আরও জানান, ২০২২ সালের ২৮ জুলাই এ বন্দরের মাধ্যমে সর্ব প্রথম গার্মেন্টস পণ্য রফতানি এবং ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো হিমায়িত ফল আমদানি শুরু হয়। ২০২৪-২০২৫ অর্থ-বছরে প্রথম ৭ মাসে মোংলা বন্দরে ৪৯৬ টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ আগমন করে। ৬৫ লাখ ৬২ হাজার ৩ শত মে. টন পণ্য আমদানি-রফতানি করা হয়। এর মধ্যে ২৩ টি কন্টেইনারবাহী জাহাজ থেকে ১২ হাজার ৮৩ টিইইউজ কন্টেইনার লোডিং-আনলোডিং এবং ১২ টি গাড়ির জাহাজ থেকে ৬ হাজার ৭৫১ ইউনিট রিকন্ডিশন গাড়ি খালাস করা হয়।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রাণপ্রবাহ এ বন্দরটি লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি বর্তমানে খাদ্যশস্য, সিমেন্ট ক্লিংকার, সার, মোটর গাড়ি, মেশিনারিজ, চাল, গম, কয়লা, তেল, পাথর, ভুট্টা, তেলবীজ, এলপিজি গ্যাস আমদানি এবং সাদামাছ চিংড়ি, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, হিমায়িত খাদ্য, কাকড়া, ক্লে টাইলস, রেশমি কাপড় ও জেনারেল কার্গো রফতানির মাধ্যমে দেশের চলমান উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে বলেও জানান তিনি।

বাংলানিউজবিডিহাব/এইচআই

চিটাগুড়
বাগেরহাট

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।