ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪৯
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচির অংশ হিসেবে মশাল প্রজ্জ্বলন করা হয়। ছবি: বাংলানিউজবিডিহাব
রংপুর: তিস্তা নদীতে ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহার, আগ্রাসনের প্রতিবাদ এবং পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়সহ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জ্বলন করেছেন উত্তরের ৫ জেলার নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’- স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় গাইবান্ধা, রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও কুড়িগ্রামের ১১টি স্থান। এতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই মশাল প্রজ্জ্বলন করেন তারা। এ সময় তারা ‘ভারতীয় পানি আগ্রাসন, মানি না মানব না’, ‘পানির ন্যায্য হিস্যা, দিতে হবে দিতে হবে, ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু কর, করতে হবে’ নানা স্লোগানে চারপাশ মুখরিত করে তোলে।
এদিকে, বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ভোরে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে ৪৮ ঘণ্টার লাগাতার কর্মসূচি। সোমবার সকাল থেকে শুরু হয়েছিল এই লাগাতার কর্মসূচি। ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানের তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন এই কর্মসূচি দেয়। কয়েক হাজার হাজার মানুষ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
তিস্তা নদীর রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আসাদুল হাবিব জানান, এই কর্মসূচির মাধ্যমে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিশ্ব জনমত তৈরির জন্য উপস্থাপন করা হবে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে আন্দোলন চলবে।
এর আগে বিকেলে সমাবেশে ভার্চুয়ালি যোগ দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি সমাবেশে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলকে বাঁচাতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেয়।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপির রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।’ এ সময় বন্ধুত্বের দোহাই দিয়ে বাংলাদেশ আর কাঁটাতারের বেড়ায় ফেলানীকে দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ‘ভারত যদি তিস্তা নদীর পানি ন্যায্য হিস্যা না দেয় তাহলে বাংলাদেশকে বাঁচাতে, কৃষককে বাঁচাতে, কৃষিকে বাঁচাতে, জনগণকে বাঁচাতে, নিজেদের পথ খুঁজে নিতে হবে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সম্ভাব্যতাকে কাজে লাগাতে হবে। জাতিসংঘ ও সংশ্লিষ্ট সকল আন্তর্জাতিক ফোরামে জোরালোভাবে বাংলাদেশের দাবি তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেও কূটনৈতিকভাবে আলোচনা করতে হবে।’
বাংলাদেশকে ১৯৯২ সালের ওয়াটার কনভেনশন এবং ১৯৯৭ সালের জাতিসংঘ পানিপ্রবাহ কনভেনশন সই করা জরুরি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলানিউজবিডিহাব/পিটিএম