
প্রতীকী ছবি
ভোলায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী এসএসসি পরীক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত যুবক। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত যুবকের নাম ওমর কাজি। তার বাড়ি উপজেলার হাসাননগর ইউনিয়নে। বাবার নাম বশির কাজি।
ভুক্তভোগী এসএসসি পরীক্ষার্থীর অভিযোগ, আমি চলমান এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। গত বৃহস্পতিবার প্রথম পরীক্ষা দিয়েছি। দ্বিতীয় পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গতকাল রাতে পড়ালেখা করছিলাম। রাত সোয়া ১১টার দিকে ঘর থেকে বের হয়ে টয়লেটে যাচ্ছিলাম। এ সময় ওমর কাজি এসে আমার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক বাগানে নিয়ে যায়। আমি চিৎকার দিতে চাইলে সে হুমকি দিয়ে বলে, চিৎকার দিলে মেরে ফেলব। পরে ওমর কাজি আমাকে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, ধর্ষণের শিকার হয়ে ঘরে এসে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে পড়ে। রাতেই এ ঘটনা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানাতে যাওয়ার সময় ভুক্তভোগীর মাকেও গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যাচেষ্টা করে ওই যুবকের পরিবার।
পরে স্থানীয় থানায় অবগত করে তাকে চিকিৎসার জন্য বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া এ ঘটনা কাউকে না জানাতে ভুক্তভোগীর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত যুবকের পরিবারের বিরুদ্ধে।
ভোলা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স বেবি নাজনীন বলেন, ওই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে আজ শনিবার ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।
হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক শেখ সুফিয়ান রুস্তম জানান, ভুক্তভোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তার ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে জানা যাবে ধর্ষণের শিকার কি না।
জানতে চাইলে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি।
ভোলার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল হক বলেন, বোরহানউদ্দিনে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ জেনেছি। এ বিষয়ে মামলা হবে।