ভোলায় মসজিদের খতিবকে হত্যা করেছে নিজের সন্তান : পুলিশ সুপার – BanglaNewsBDHub.com |

Featured Image
PC Timer Logo
Main Logo



ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস, ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের খতিব ও ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আমিনুল হক নোমানী (৪৪) হত্যাকাণ্ডের সাত দিন পর ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে ভোলার পুলিশ বিভাগ। নিহত ব্যক্তি সদর উপজেলা জামে মসজিদের খতিব ছিলেন। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শরীফুল হক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

পুলিশের দাবি, হত্যার সঙ্গে নিহতের ছেলেই জড়িত। হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ততার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলার তজুমদ্দিন উপজেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ভোলার গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

পুলিশ জানায়, গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত ৯টা ২০ মিনিটে ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ও ডিবির টিম ঘটনাস্থলে যায়। গুরুতর আহত নোমানী হুজুরকে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন নিহতের স্ত্রী হালিমা বিনতে কামাল বাদী হয়ে ভোলা সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।

এসপি জানান, তদন্তের এক পর্যায়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর সন্দেহভাজন হিসেবে নিহতের ছেলে রেদওয়ান হককে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে সে জিজ্ঞাসাবাদে পিতাকে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং তার দেখানো মতে বাড়ির পেছনের খাল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়। মামলাটি বর্তমানে ভোলা জেলা গোয়েন্দা শাখার সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলে তদন্তাধীন রয়েছে।

শরীফুল হক জানান, হত্যার ‘কিলিং মিশনে’ নিহতের ছেলে একাই অংশ নিয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাবার কড়া শাসন মানতে না পেরে ক্ষোভে তিনি বাবাকে খুন করেন। এ জন্য ইউটিউবে বিভিন্ন ক্রাইম মুভি দেখে দক্ষতা অর্জন করেন কীভাবে আঘাত করলে মৃত্যু নিশ্চিত হবে তা শিখে নেন।

পুলিশ কর্মকর্তা জানান, দুই মাস আগে থেকেই বাবাকে হত্যার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন ছেলে। এরপর হত্যার উদ্দেশে ছুরি, টি-শার্ট, ক্যাপ ও হাতঘড়ি সংগ্রহ করেন।

তিনি জানান, বাবার শাসনে ক্ষোভ থেকে একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তবে ব্যর্থ হওয়ার পর বাবাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে থাকেন এবং গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে ঘরে একা পেয়ে বাবাকে খুন করেন। তবে এ হত্যাকাণ্ডে ছেলের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, সেটিও তদন্ত করছে পুলিশ।

এসপি শরীফুল হক আরও জানান, ঘাতক সন্তান নিজ বাড়িতে থাকতেন না, বাবার সঙ্গে রাগ করে মামার বাড়িতে থাকতেন। তবে পড়াশোনা করতেন বাবার মাদ্রাসায়।

  • খতিব
  • পুলিশ
  • ভোলা
  • সন্তান
  • হত্যা
  • মন্তব্য করুন

    আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।