মস্কোর মূল প্রতিযোগিতায় ‘মাস্তুল’

Featured Image
PC Timer Logo
Main Logo

আবারও বিশ্বের অন্যতম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের ছবি। আসন্ন ৪৭তম আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছে ‘আম কাঁঠালের ছুটি’ বানিয়ে প্রশংসা পাওয়া নির্মাতা মোহাম্মদ নূরুজ্জামানের ‘মাস্তুল’।

এর আগে ৪৪তম আসরে যুবরাজ শামীমের ‘আদিম’, ৪৫তম আসরে নূরুল আলম আতিক পরিচালিত ‘পেয়ারার সুবাস’ এবং ৪৬তম আসরে আসিফ ইসলামের ‘নির্বাণ’ নির্বাচিত ও প্রদর্শিত হয়। তারও আগে ফারুকীর ‘ডুব’ ও ‘শনিবার বিকেল’ এবং জসীম আহমেদ প্রযোজিত ইন্দ্রনীল রায় চ্যাটার্জির ‘মায়ার জঞ্জাল’ প্রদর্শিত হয়েছিলো। এরমধ্যে ‘আদিম’ চলচ্চিত্রটি দুটি বিভাগে এবং ‘নির্বাণ’ একটি বিভাগে পুরস্কার অর্জন করে।

এ বছর মস্কোতে চলচ্চিত্রের আসর বসতে যাচ্ছে ১৭ এপ্রিল থেকে। ৮ দিনব্যাপী এই উৎসবের পর্দা নামবে ২৪ এপ্রিল। উৎসবে বাংলাদেশের ‘মাস্তুল’ ছাড়াও থাকছে রাশিয়া, কোরিয়া, স্পেন আর্জেন্টিনা ও জার্মান, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশের মোট ১১টি সিনেমা।

বুধবার (২ এপ্রিল) বিকেলে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগসহ উৎসবের বিভিন্ন বিভাগের ছবি নিয়ে বিস্তারিত ঘোষণা করেছে উৎসব কর্তৃপক্ষ। পরে অফিশিয়াল ওয়েব সাইটেও উৎসবের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

বিশ্বের অন্যতম এই উৎসবে ‘মাস্তুল’ মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে স্থান করে নেয়ায় উচ্ছ্বসিত নির্মাতা নূরুজ্জামান। আনন্দ প্রকাশ করে এই নির্মাতা বলেন, মস্কোতে ‘মাস্তুল’ মনোনীত হওয়ার বিষয়টি আগেই উৎসব কর্তৃপক্ষ ই-মেইল যোগে নিশ্চিত করেছেন। আজকে যেহেতু সংবাদ সম্মেলন করে মূল প্রতিযোগিতাসহ সব বিভাগের মনোনীত ছবির নাম ঘোষণা করলো উৎসব কর্তৃপক্ষ, তাই সবার সাথে ‘মাস্তুল’-এর এই আনন্দ সংবাদটি ভাগাভাগি করতে ভালো লাগছে।

উৎসব কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে টিম মাস্তুলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। উৎসবে যোগ দিতে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে মস্কোতে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে বলে জানান নির্মাতা। মস্কোতে ‘মাস্তুল’ মনোনীত হওয়ার দিনে উৎসব পোস্টার শেয়ার করেছেন নির্মাতা। যে পোস্টারটি তৈরী করেছেন গুণী শিল্পী ধ্রুব এষ। ছবিটির ইংরেজি নাম ‘বেয়ন্ড দ্য মাস্ট’।

এরইমধ্যে দেশে মুক্তির অনুমতি পেয়েছে ‘মাস্তুল’। মার্চের ২৪ তারিখে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে কোনো কর্তন ছাড়াই ‘মাস্তুল’ ছাড়পত্র পায়। সব বয়সী দর্শকের দেখার যোগ্য ‘মাস্তুল’।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিনেমাটির প্রেক্ষাপট নিয়ে নূরুজ্জামান বলেন, আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা নারায়ণগঞ্জে। ছোটবেলা থেকেই নদী বন্দর এলাকার জাহাজীদের দেখে আসছি। ডাঙ্গার সাথে জলে ভাসা এই মানুষগুলোর সম্পর্ক আর তাদের বিচিত্র জীবন আমাকে বরাবরই টানত। ‘মাস্তুল’ সেই জীবনচিত্র ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দি করার সুযোগ এনে দিলো।

দেশে ‘মাস্তুল’-এর মুক্তি নিয়ে মোহাম্মদ নূরুজ্জামান বলেন, আমরা গেল বছরেই ‘মাস্তুল’-এর সব কাজ সম্পন্ন করেছি। দেশের বাইরে হয়েছে এই সিনেমার সাউন্ড-এর কাজ। মস্কোতে প্রদর্শিত হওয়ার পর সামনে সুবিধাজনক একটি সময়ে দেশে সিনেমাটি মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা আছে।

‘মাস্তুল’-এ জাহাজের বাবুর্চির চরিত্রে অভিনয় করছেন নন্দিত অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু। সিনেমাটির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন দীপক সুমন, আমিনুর রহমান মুকুল, শিকদার মুকিত, জুলফিকার চঞ্চল এবং শিশুশিল্পী আরিফ।

সিনেমাকার’-এর ব্যানারে প্রযোজিত এই চলচ্চিত্রের কাস্টিং ডিরেক্টর ‘আদিম’খ্যাত যুবরাজ শামীম এবং চিত্রগ্রহণে ছিলেন মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান। এছাড়া পরিচালনা ও প্রযোজনার পাশাপাশি কাহিনি ও চিত্রনাট্য রচনা, সম্পাদনা এবং সাউন্ড ডিজাইন করেছেন নির্মাতা নিজেই। সিনেমাটির প্রমোশন ও ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশনে আছে টঙঘর টকিজ।

banglanewsbdhub/এজেডএস/এএসজি

মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব
মাস্তুল
মোহাম্মদ নূরুজ্জামান

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।