গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের একটি নতুন রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধন পেয়েছে। এই নিবন্ধন প্রাপ্তির মাধ্যমে দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম এখন আইনি স্বীকৃতি লাভ করেছে।

২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর গণসংহতি আন্দোলন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন জানায়। তবে সেই আবেদন তখন বাতিল হয়ে যায়। এ অবস্থায় দলটি উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করে। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর, ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল হাইকোর্ট নির্বাচনী কমিশনকে নির্দেশ দেয় গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন দেওয়ার জন্য। যদিও এই আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আপিল করে, কিন্তু পরবর্তীতে সরকার পরিবর্তনের পর, নতুন কমিশন সেই আপিল প্রত্যাহার করে নেয়।

আজ, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে নির্বাচন কমিশনের সচিব শফিউল আজিম গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিনিধিদের হাতে দলের নিবন্ধন সনদ হস্তান্তর করেন। নিবন্ধনের সঙ্গে যুক্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, যা উল্লেখ করেছে যে, দলটি পুনরাদেশ না পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন দ্বারা রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃত হবে। গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন নম্বর ৫৩ এবং দলের প্রতীক হচ্ছে ‘মাথাল’।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে, দলের নিবন্ধন চেয়ে যে আবেদন জানানো হয়েছিল, তার ভিত্তিতে আদালতের আদেশ ও কমিশনের অনুমোদন অনুসরণ করে আজ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিশনের সচিব শফিউল আজিম বলেন, “গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন প্রাপ্তি আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, আইনি প্রক্রিয়ায় কোনো ধরণের ত্রুটি থাকবে না।”

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি এই নিবন্ধন প্রাপ্তিকে একটি বড় জয় হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, “আমাদের নিবন্ধন আটকে রাখা হয়েছিল, কিন্তু আজ আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমাদের দল এখন ‘মাথাল’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।”

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলটি নিবন্ধন চেয়েছিল এবং পরবর্তীতে আদালতের আদেশে ও আইনগত লড়াইয়ের মাধ্যমে এই প্রাপ্তি ঘটেছে। নির্বাচন কমিশন এই নিবন্ধন প্রদান করার মাধ্যমে বর্তমানে ৪৮টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে গণসংহতি আন্দোলন একটি নতুন সংযোজন।

এই নিবন্ধনের মাধ্যমে, গণসংহতি আন্দোলন এখন নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রমকে আরও সম্প্রসারিত করতে সক্ষম হবে।