বাংলাদেশে মাদকদ্রব্য এর ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার।  তবুও এর উপর দ্রব্য বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন।  এর কারণ আমাদের সচেতনতা, আমরা এ বিষয়ে অতটা সচেতন নই। এর ফলে অনেক ভালো ভালো ছেলেরা জড়িয়ে যাচ্ছে মাদকদ্রব্যের দিকে।

বাংলাদেশের গবেষকরা বলছেন, ৭৩ লাখ মাদকাসক্ত সারা বাংলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে, যাদের বেশির ভাগ তরুণ। মোট জনগোষ্ঠী ১৬ কোটির অনুপাতে এ সংখ্যা কতটা ভয়াবহ, হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।

মাদকাসক্তদের মধ্যে নারীর সংখ্যা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। মাদকাসক্তদের ৯১ শতাংশই কিশোর, তরুণ ও যুবক বয়সি। বাংলাদেশের কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, কারাবন্দি মানুষের মধ্যেও ৩৫ শতাংশের বেশি মাদক-সংক্রান্ত অপরাধে জড়িত।

তাহলে মাদকদ্রব্য ধ্বংস করতে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে এবং মাদক ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে আপনাকে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করতে হবে, এক কথায় ধরিয়ে দিন। তাহলে আমরা মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো।

জিরো টলারেন্স মানে কি মাদক

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৭ সালে মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে মোট ১১ হাজার ৬১২টি। মামলায় মোট আসামি করা হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ৮৩২ জনকে। ওই বছরে মাত্র ২ হাজার ৫৩৯টি মামলা আদালতে নিষ্পত্তি হয়েছে। এসব মামলার ২ হাজার ৬৮০ জন আসামির মধ্যে বেশির ভাগই খালাস পেয়েছেন।

মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি

মাদকের বিরুদ্ধে সখিংস ও অস্বস্থকর ব্যবহারের দমন এবং তার ব্যবসায়ী প্রচারের প্রতি শক্তির একটি পদক্ষেপ হিসেবে “জিরো টলারেন্স” নীতি ব্যবহৃত হয়। এই নীতির মূল উদ্দেশ্য মাদকের নিয়ন্ত্রণ এবং মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠিন উপায়ে কঠিন ব্যবস্থা স্থাপন করা। এই নীতির নামে বোঝায় যে মাদক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যেকোন ধরনের সহিংস ব্যবহারের প্রতি কোনও প্রতিরোধক্ষমতা নেই, অর্থাৎ সমাজে এর প্রতি শ্রদ্ধা নেই।

নীতির লক্ষ্য

জিরো টলারেন্স নীতির মূল লক্ষ্য মাদক প্রসার এবং দ্রুত বাড়তি করতে তথ্য নিয়ন্ত্রণ এবং মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করা। এটি মাদক প্রসারের বিরুদ্ধে একটি মহত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তি প্রয়োজনে বাধা দেয়।

নীতির প্রয়োগ

জিরো টলারেন্স নীতি সাধারণভাবে সমাজে মাদক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সক্ষমতা অত্যন্ত কম বা শূন্য হতে বলে জানায়। এই নীতি মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তি এবং আদালতিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করে এবং মাদক সহমুখী অভিযান বা শাস্তি প্রয়োজনে বাধা দেয়।

সংক্ষিপ্তভাবে

“জিরো টলারেন্স” নীতি মাদক নিয়ন্ত্রণের প্রতি যেকোন প্রতিরোধক্ষমতা নেই, অর্থাৎ যে কোন পর্যায়ে মাদক নিয়ন্ত্রণের প্রতি যেকোন আবারো অবৈধ উপায়ে মাদক ব্যবস্থা করার প্রতি শ্রদ্ধা নেই। এই নীতির উদ্দেশ্য মাদক প্রসার এবং দ্রুত বাড়তি করতে তথ্য নিয়ন্ত্রণ এবং মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করা।