
মার্চ মাসে ১৬৩ জন শিশু ও নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। একই সময়ে ধর্ষণচেষ্টার শিকার ৭০ জন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দেশের শীর্ষস্থানীয় ১৫টি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানিয়েছে।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন হলে সাম্প্রতিক নারীর মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ‘আন্দোলন’ সম্পাদক রাবেয়া খাতুন শান্তি বলেন, ২০২৫ সালের মার্চ মাসে মোট ৪৪২ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১২৫ জন কন্যাসহ ১৬৩ জন।
তার মধ্যে ১৮ জন কন্যাসহ ৩৬ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ২ জন কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে, ২ জন কন্যা ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছে। এ ছাড়া ৫৫ জন কন্যাসহ ৭০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা লক্ষ করছি যে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার সহিংসতার মাত্রা পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। মাত্রা ক্রমবর্ধমান হারে বেড়েই চলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে সাম্প্রতিক নারীর মানবাধিকার পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে ৭টি সুপারিশ করা হয়।সুপারিশগুলো হল—
এক. নারী বিদ্বেষী প্রচার প্রচারণা বন্ধ করার লক্ষ্যে এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দুই. নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তিন. মব সহিংসতার অবসান ঘটনোর জন্য যাবতীয় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। চার. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। পাঁচ. নারী নির্যাতন ও সহিংসতার বিষয়ে বাস্তব তথ্য প্রদানে গণমাধ্যমকে আরও উদ্যোগী হওয়ার আহব্বান জানাচ্ছি। ছয়. মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির প্রয়াস প্রতিহত করতে হবে। সাত. সমতাপূর্ণ সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় নীতিমালা বিরোধী অপতৎপরতা প্রতিহত করতে হবে।