স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
৩০ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:৩০ | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:৩৬
চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন মিরাজ। ছবি: শ্যামল নন্দী
ওয়েসলে মাধেভেরের লেং বলটা শাফল করে ফাইন লেগে ঠেলেই পড়িমরি করে দৌড় শুরু মেহেদী হাসান মিরাজের। নন স্ট্রাইক থেকে হাসান মাহমুদ ঐ প্রান্তে পৌঁছানোর আগেই মিরাজ খুলে ফেললেন হেলমেট। ব্যাট তুলে ধরলেন ড্রেসিংরুমের দিকে। স্বস্তিমাখা আকর্ণবিস্তৃত হাসি। চট্টগ্রামের অল্প কিছু দর্শক যারা এসেছেন তারাই মাতিয়ে তুললেন নীরব মাঠ। কারণ টেস্টে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেয়েছেন মিরাজ। ১৪৩ বলে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটাও চট্টগ্রামেই ছুঁলেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
তার সেঞ্চুরিতে ৪৪৪ রান তুলে প্রথম ইনিংসে থেমেছে বাংলাদেশ। লিড দাঁড়িয়েছে ২১৭। এর আগে জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে অল আউট হয়েছে ২২৭ রানে। এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন সাদমান ইসলাম অনিক।
মিরাজ নিজের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিটা করেছিলেন ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। আজ দ্বিতীয়টির দেখা পেলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭ নম্বরে বয়াট করতে এসে। অবশ্য আজকের সেঞ্চুরিটার মাহাত্ম্য একটু হলেও আলাদা। উইকেটে এসেছিলেন ২৬৭ রানে দলের পাঁচ নম্বর উইকেটটা পড়ার পর। লিড ততক্ষণে মাত্র ৪০ রান। অপর প্রান্তে মুশফিকুর রহিম টিকতে পারেননি। মিরাজ পুরোটা সময় লড়াই করে গেলেন টেইলএন্ডারদের নিয়ে। লোয়ার অর্ডারের প্রাণ বাঁচানো ব্যাটার থেকে হয়ে উঠেছেন মিডল অর্ডারের মাস্টার।
তাইজুল ইসলামের সাথে গড়েছেন ৮৪ বলে ৬৩ রানের জুটি। স্টাম্পড হয়ে তাইজুল ফিরলে তানজিম সাকিব এসে যোগ দেন তার সাথে। সেখানেই এসেছে ইনিংসে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯৬ রানের জুটি। সাকিব দারুণ ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছেন আজ, মিরাজকে দিয়েছেন যোগ্য সঙ্গ। অবশ্য ফিফটির দ্বারপ্রান্তে থেকে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে শর্ট লেগে ক্যাচ না দিলে ইনিংস আরও বড়ও হতে পারত। তবে এর আগে অন্য প্রান্তে সাকিবের ভরসা পেয়ে অনায়াসে শটস খেলেছেন মিরাজ। সুইপ, স্কুপ, পুল, ব্যাক ফুট পাঞ্চ কিংবা কভার ড্রাইভে বাউন্ডারি আদায় করেছেন ১১টা বাউন্ডারি। মেরেছেন একটা ছক্কাও। অবশ্য দলের শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ১০৪ রান করেছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। অভিষিক্ত লেগ স্পিনার মাসেকেসাকে উইকেট দিয়েছেন স্টাম্পড হয়ে। অভিষেকেই পাঁচ উইকেট নিলেন মাসেকেসা।
banglanewsbdhub/জেটি
জিম্বাবুয়ের বাংলাদেশ সফর
মেহেদী হাসান মিরাজ
সাদমান ইসলাম অনিক