
মিশরের শার্ম এল-শেখে বৈঠকে গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সই করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিশ্বনেতারা। ট্রাম্পের পাশাপাশি চুক্তিতে সই করেছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান ও কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি। এর মধ্য দিয়ে দুই বছর ধরে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলা যুদ্ধের অবসান হল।
শার্ম এল শেখে বৈঠকের শুরুতে বক্তব্য রাখেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই চুক্তি ও যুদ্ধবিরতির নেপথ্যে ভূমিকার জন্য কাতার, তুরস্ক ও মিশরের নেতাদের ধন্যবাদ জানান তিনি। চুক্তি সইয়ের এই অনুষ্ঠানে হামাস বা ইসরায়েলের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিল না।
গাজায় যুদ্ধবিরতির এই চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মাধ্যমে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ইসরায়েল হামলা বন্ধ হবে এবং সেখানে মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা সহজ হবে।
এ চুক্তি নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, সবাই বলেছিল এটা (যুদ্ধবিরতি ও চুক্তি সম্পাদন) সম্ভব হবে না। কিছুই হবে না। এখন আপনাদের চোখের সামনেই এটা হচ্ছে।
সোমবার যুদ্ধবিরতি উদ্যাপন করতে ইসরায়েলে গেছেন ট্রাম্প। ইসরায়েলের সংসদ নেসেটে বক্তব্যও রেখেছেন। সেখান থেকে মিশরে যান যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট।
চুক্তি সইয়ের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার, যিনি ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী যুদ্ধপরবর্তী গাজার প্রশাসনের জন্য নিয়োগ পেতে যাওয়া ‘বোর্ড অব পিসে’র সদস্য হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।
এর আগে যুদ্ধবিরতির চুক্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে হামাস তাদের হাতে বন্দি জীবিত ২০ ইসরায়েলিকে ফেরত দিয়েছে, ফেরত দিয়েছে মারা যাওয়া দুই ইসরায়েলি বন্দির মৃতদেহও। অপরদিকে ইসরায়েল প্রাথমিকভাবে তাদের জেলে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১৯০০ জনকে মুক্তি দিয়েছে।