স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:১৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর একটি মন্দিরের পুরোহিত-সেবকসহ তিনজনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় চার অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর দামপাড়ায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে উপ কমিশনার (অপরাধ) রইছ উদ্দিন এ তথ্য জানান।
এর আগে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) নগরীর পাঁচলাইশ থানার পলিটেকনিক মোড়ের শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের পেছনের একটি বাগান থেকে ওই চার অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় অপহৃত তিন ব্যক্তিকেও উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।
গ্রেফতার চার অপহরণকারী হলেন- বাছির আহম্মদ রানা (২৭), মো. জিহাদ (২৪), মো. আরিফ (২৪) ও মো. ইমন হোসেন সাদ্দাম (২৩)। অন্যদিকে অপহৃত তিনজন হলেন- কেশব মিত্র দাস (৪৩), রুবেল রুদ্র (৪২) ও সমির দাস (৪৫)। এরমধ্যে কেশব মিত্র দাস নগরীর গোলপাহাড় এলাকার ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের পুরোহিত আর রুবেল রুদ্র সেবক বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপ কমিশনার (অপরাধ) রইছ উদ্দিন জানান, শনিবার নগরীর পাঁচলাইশের হিলভিউ আবাসিক এলাকা থেকে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে ওই তিনজকে অপহরণ করা হয়। এরপর তাদের ওই এলাকার একটি ভবনের চতুর্থ তলায় আটকে রেখে নয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এসময় ওই তিনজনকে ব্যাপক মারধর করেন অপহরণকারীরা।
রইছ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে অভিযান চালালে অপহরণকারীরা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে এবং শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের পেছনের বাগানে ভিকটিমদের লুকিয়ে রাখে। সিএমপির ডিবি উত্তর-দক্ষিণ বিভাগের একটি টিম শনিবার সন্ধ্যায় পাঁচলাইশ থানার পলিটেকনিক মোড়ের শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের পেছনের একটি বাগান থেকে অপহৃত তিনজনকে হাত-পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার করে। এসময় পাঁচটি মোটরসাইকেল, ১০টি কিরিচসহ চার অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়।’
গ্রেফতার অপহরণকারীরা পেশাদার কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গ্রেফতার সাদ্দামের বিরুদ্ধে সিএমপির বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা রয়েছে। রানার বিরুদ্ধে আটটি মামলা রয়েছে। বাকি জিহাদ এবং আরিফের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে। মামলাগুলো বেশিরভাগই চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি এবং চাঁদাবাজির। সুতরাং আমরা বলতে পারি তারা পেশাদার অপরাধী।’
অপহরণে বায়েজিদ এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী বার্মা সাইফুলের সম্পৃক্ততা আছে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে রইছ উদ্দিন বলেন, ‘গ্রেফতার চারজনই আমাদের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী বার্মা সাইফুলের সহযোগী ছিল। আমরা সাইফুলকে এখনো আটক করতে পারিনি। তালিকাভুক্ত যেকোনো সন্ত্রাসীকেই গ্রেফতারে আমাদের প্রচেষ্টা থাকে। বার্মা সাইফুলকেও অতিদ্রুত গ্রেফতারে আমরা চেষ্টা করব। তিনি আমাদের কাছে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত। তার রাজনৈতিক পরিচয় এখানে মূখ্য নয়।’
বাংলানিউজবিডিহাব/আইসি/এসআর